”কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” বইয়ের ভূমিকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ের এই পুস্তক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য লেখা হয়েছে। যদিও বিষয়টি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত, তবুও সাধারণ পাঠকবৃন্দের জন্যও বইটি উপযোগী বলে মনে করি, কারণ এটি পড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে কোন প্রকার পূর্ব-পরিচয়ের আবশ্যকতা নেই এবং বিষয়বস্তুকে যথাসম্ভব সহজ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি সঠিকভাবে অনুধাবনের সুবিধার্থে পুস্তুকটিতে বাংলা শব্দের পাশাপাশি ইংরেজি প্রতিশব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়বস্তুকে বোধগম্য করে তোলার জন্য অনেক ক্ষেত্রে বিশদ ব্যাখ্যার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ফলে কোথাও কোথাও আলোচনা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ হয়েছে।
এই পুস্তকটিতে জ্ঞান প্রযুক্তির তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ বিশদ আলোচনা করা হয়েছে বলে এই পুস্তকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর পর্যায়ের গবেষণার সহায়ক হবে বলে আমি আশা রাখি।কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ ছাড়াও দর্শন, মনোবিজ্ঞান, রোবটিক্স ইত্যাদি বিষয়ের গবেষকগণও এটিকে সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ের উপর বাংলা ভাষায় এই গ্রন্থটি লেখার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা্র তত্ত্বাবধায়ক জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স-এর পরিচালক প্রফেসর হারুকি উয়েনোর কাছ থেকে। মূলত তাঁর কাছেই আমার এই বিষয়ের হাতে ঘড়ি। তিনি আমাকে রোবটকে বুদ্ধিমান করার কৌশল হিসেবে এই বিষয়কে ব্যবহারের উপযোগিতা ও প্রাসঙ্গিকতা বুঝিয়েছেন।
পুস্তকটি রচনার জন্য কম্পিটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক আমাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আমি তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।পুস্তকটি রচনার জন্য অনেক দেশি-বিদেশি পুস্তক ও জার্নালের সহায়তার প্রয়োজন হয়েছে। সংশ্লিষ্ঠ পুস্তক ও পত্র-পত্রিকার লেখক ও প্রকাশকগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার অক্লান্ত প্রচেষ্টার পরও বর্তমান সংস্করণে পুস্তকটিতে কিছু অসঙ্গতি ও ত্রুটি থেকে যেথে পারে। মুদ্রণগত বা অন্য কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি কেউ যদি আমার কাছে তুলে ধরেন তাহলে কৃতজ্ঞ হবো এবং পরবর্তী সংস্করণে এসব অসঙ্গতি ও ত্রুটি সংশোধনে যত্নবান হবো। পুস্তকটির উৎকর্ষের জন্য যে কোন গঠনমূলক পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে। আশা করি সৃজনশীল পাঠক এসব ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর সৃষ্টি দিয়ে দেখবেন। সুহৃদয় পাঠকের পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা সাদরে গৃহীত হবে।
লেখক ৭ই চৈত্র, ১৪১৫।
সূচিপত্র * অবতরণিকা * জ্ঞান : সাধারণ ধারণা * প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা * নিয়মভিত্তিক দক্ষ পদ্ধতি * সম্পৃক্ত চালিকা ও কাঠামো * অনুসদ্ধান * প্রোলগ * লিম্প * ফাজি যুক্তিবিদ্যা * কৃত্রিম স্নায়বিক জালিকা * জেনেটিক এলগরিদম * প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ