"সংক্ষিপ্ত এক কথায় প্রকাশ অভিধান" বইটি থেকে নেয়াঃ শব্দ ব্যবহারের পারদর্শিতায় বক্তা, লেখক সকলের কৃতিত্ব শব্দ তার অবলম্বন, আশ্রয় ভিত্তি, মেধা প্রদর্শনের মাধ্যম- ভাব প্রকাশের হাতিয়ার। বক্তব্য প্রকাশ বা বিষয় বর্ণনার ক্ষেত্রে অনেক শব্দের পরিবর্তে এক শব্দে প্রকাশ করতে পারলে লেখক-পাঠকের পরিশ্রম কমে যায়, বক্তব্যের বা বর্ণনার চমৎকারিত্ব বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে শব্দার্থ চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। সেজন্য আবাল্য এক কথায় প্রকাশের বিষয়টি পাঠ্য বইতে অবশ্য পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। শব্দার্থ অভিধানে শব্দ আগে আর যা প্রকাশ বা ধারণ করে তা পরে, এক কথায় প্রকাশের ক্ষেত্রে যা প্রকাশ করে তা আগে, কী প্রকাশ করে তা পরে এক শব্দে। তাই বক্তব্যে উৎকর্ষতায় তা বেশি যােগ্য ও কাম্য। এর মধ্যে প্রকাশ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর পরিসর অত্যন্ত সীমিত। এ ক্ষেত্রে সহযােগিতার জন্য প্রচলিত শব্দার্থ অভিধান কাজে লাগানাে গেলেও অভিধানের কলেবর উৎসাহকে দুঃসাহসের অভিধায় দণ্ডিত করতে চায়। বর্তমান সকল ক্ষেত্রেই অল্প সময়ে অল্প আয়তনে অল্প জমিনে অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে নানান। যন্ত্র ও কলাকৌশল উদ্ভাবন হচ্ছে। ব্যবহারেও অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। এখন গ্রন্থের কলেবর দিনে দিনে হ্রাস করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে হচ্ছে। তা মনে রেখে কেবল চমৎকার, অল্প পরিচিতি শব্দের অনুসন্ধানে সহায়ক হিসেবে সংক্ষিপ্ত কলেবরে উপস্থিত করা হলাে। গ্রন্থটি সযত্নে সংরক্ষণের জন্যে নয়, হাতের কাছে, পড়ালেখার টেবিলে রেখে কাজে লাগালে লেখক পাঠক যতটা উপকৃত হবেন আমার আনন্দ তার চেয়ে একটু বেশি।
মােহাম্মদ তাজুল ইসলাম। কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার বেলঘর ইউনিয়ন -যা বর্তমানে কুমিল্লা সদর (দক্ষিণ) উপজেলার সীমানায় ন্যস্ত চাউল ভান্ডার গ্রামে জন্ম ১৯৫৬ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম, এ ডিগ্রী লাভ করেন কয়েকবছর অধ্যাপনার পর প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাের্ডে চাকুরীর ধারাবাহিকতায় বর্তমানে পিজিসিবি লি: এর উপ-মহাব্যবস্থাপক। স্কুল জীবনে প্রথম লেখা মুদ্রিত হওয়ার অনুপ্রেরণায় অব্যাহতভাবে ব্যস্ত আছেন বহুমাত্রিক সাহিত্যকর্মে। বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র এবং বিটিভি’র গীতিকার। বের হয়েছে ঈদের গানের এলবাম-যা বাঙলা ভাষায় প্রথম। বিভিন্ন ধারার এক হাজার গানের পাশাপাশি প্রবন্ধ, রম্য-রচনা, ছড়া, কবিতা, গল্প রচনায় এবং একাধিক অভিধান সম্পাদনায় ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত লেখক ও বিদগ্ধ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছেন। নতুনত্বের সাথে মৌলিকত্বের গর্বিত উপস্থাপনায় খুব শীঘ্রই প্রসিদ্ধ জনদের মাঝে স্থান পাবেন। ‘অনুপ্রাস অভিধান' এর হাত ধরে কবিদের অনিবার্য শ্রদ্ধা তার প্রাপ্য। দীর্ঘতম কবিতার বইটি (১৩৩ পৃষ্ঠা) হবে দুই বাঙলায় অপরিহার্য ঈর্ষার কারণ।