ভূত শিকারের গল্প ভূত! ওরে বাবা! নাম শুনলেই গায়ের সব লোম খাড়া হয়ে যায়। ভয় ঝাঁকিয়ে বসে মনে। সাপ-কুমির দেখলেও ভয়। কিন্তু ভূতের মতো নয়! সাপ-কুমির দেখা যায়। ভূত তো দেখা যায় না। তেড়ে আসলেও বোঝা যায় না। যায়? এজন্য ভূতকে সবাই ভয় পায়। আসিফ, নাকিব, আদিব, আবির, নিগার, পিংকি স-বা-ই। কেবল ব্যতিক্রম তুনতু। তুনতুও ভয় পায় তবে ওদের মতো নয়। সে খুব সাহসী। বুদ্ধিমতিও বটে। তার সাফ কথা- বড় মামা বলেছে- ভূত-টুত বলে কোনো কিছু নেই। সাপ, কুমির, কুকুর, শিয়াল সে আকছার দেখেছে। মেরেছে। একবার তো বানের সময় এক সাপ তার বিছানায় উঠে এসে গোল পাকিয়ে বসে থাকতে দেখে লাঠি হাতে মেরেই শেষ করেছে। তার সাহসী কাণ্ড দেখে সবাই তাকে ধন্যি মেয়ে বলে কত প্রশংসা করল। মাতো বলেই ফেলে, ভাগ্যিস মেয়েটা সাহসী ছিল। নইলে কী যে হতো! আর ভূত? যাকে দেখা যায় না তাকে ভয় পাবে এমন এমন মেয়ে মেয়ে সে নয়। তুনতু ভূতের অনেক বই পড়েছে। সে দেখেছে ভূতের গল্পগুলো সব বানানো। তারপরও সে যদি ভূতের দর্শন পেতো না হয় বিশ্বাস করত। প্রয়োজনে একবার তার সাথে লড়াই করত। খবর পেলেই ঢাল তলোয়ার নিয়ে বীরকন্যা সেজে ভূত শিকার করত। কিন্তু সে-ভূত কই? একদিন মায়ের কাছে পড়ার বিষয়ে কথা হচ্ছিল। মা বলেন, 'তুনতু, তুই সাহসী আর বুদ্ধিমতী। এজন্য আমি তোকে খুব পছন্দ করি, ভালোবাসি। তুই আমার লক্ষ্মী মেয়ে। কিন্তু সেই তুই কিনা পড়াশুনায় পিছনে? পিংকি, রাজুরা যেভাবে ক্লাসে ফাস্ট হয় তুই হতে পারিসনা কেন? তোর তো কোনো কিছুর অভাব নেই। তারপরও......'