‘অ্যাডর্ন চট্টগ্রামী বাংলার অভিধান’ বইয়ের কিছু কথাঃ আঞ্চলিক ভাষার শব্দ সংগ্রহ ও অভিধানের পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে একটি বড় মাপের কর্মোদ্যোগ। বাংলাভাষার আঞ্চলিক শব্দ সংগ্রহের কাজ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু করে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ। অতঃপর উভয়-বাংলা (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) আঞ্চলিক শব্দ সংগ্রহের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কম-বেশি। ঢাকার বাংলা একাডেমী আঞ্চলিক শব্দে অভিধানে প্রকাশ করেছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে যেসব উৎসাহী মানুষ এই আঞ্চলিক শব্দ সংগ্রহের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন বর্তমান সংকলক মাহবুবুল হাসান তাঁদের একজন। দীর্ঘ দেড়যুগ অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শব্দবৈচিত্র্যের একটি চমৎকার ও মানসম্মত সংকলন উপহার দিয়েছেন। বর্তমান অভিধানে তিনি চট্টগ্রামী শব্দের ছয় হাজার ভুক্তি ছাড়াও চট্টগ্রামী শব্দের ছয় হাজার ভুক্তি ছাড়াও চট্টগ্রামী লোকছড়া, লোক ধাঁধা, প্রবাদ-প্রবচন ও বাগধারা অন্তর্ভুক্ত করেছেন প্রায় আড়াই হাজার। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা সংরক্ষণ এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এই শব্দের রসমাধুর্য পৌঁছে দেবার কাজে এই অভিধানটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। সংকলনটি শব্দপ্রেমিক ও আঞ্চলিক ভাষা-গবেষকদের কাছে সমদৃত হবে একথা বলা যায়।
মাহবুবুল হাসান মূলত ছড়াকার। একসময় দু’হাতে ছড়া লিখেছেন। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টইটম্বুর নামে ছড়া সঙ্কলন সম্পাদনা করেছেন। পরে হাত দেন ছড়া বিষয়ক আলোচিত লিটল ম্যাগাজিন ছড়া পত্রিকা সম্পাদনায়। তার বইয়ের সংখ্যা ৬টি। এরই ফাঁকে নীরবে কাজ করেছেন চট্টগ্রামের লোকভাষা নিয়ে। তারই ফসল চট্টগ্রামী বাংলার অভিধান। পেশাগতভাব তিনি ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিমিটেড-এ কর্মরত।