"গল্পে ও কবিতায় ইংলিশ গ্রামার" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: ইতােমধ্যে প্রকাশিত আমার গল্পে ও কবিতায় Preposition” বইটি সবার কাছে এতটা জনপ্রিয় হবে, এতগুলাে SMS/Phone পাবাে, তা কখনােই কল্পনা করিনি। খুবই আনন্দিত হলাম, আমার প্রিয় ছাত্র এনজয় দাশ ইংরেজিকে সহজবােধ্য ও আনন্দদায়ক করার জন্য নতুনভাবে কিছু কবিতা লিখেছেন, যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এনজয়-কে উৎসাহিত করার জন্য আমার এই বইতে এনজয়ের কবিতাগুলাে সংযােজন করলাম। আশা করি, পাঠকরাও এনজয়ের কবিতাগুলাে সত্যিই Enjoy করবেন। এছাড়াও নাসরিন সুলতানার দুটি কবিতা এই বইতে সংযােজন করা হয়েছে, যা পাঠকদের উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। একজন শিক্ষকের সফলতা তখনই; যখন একজন শিক্ষার্থী স্যারের ভালাে জিনিসগুলাে অনুসরণ করে, অনুকরণ করে এবং অনুপ্রাণিত হয়ে সৃজনশীল কাজ করে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে কতটুকু ভালাে বা সফলতা আমার মতাে ক্ষুদ্র একজন মানুষের পক্ষে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার ক্লাস করে বা বই পড়ে একজন শিক্ষার্থীও যদি সৃজনশীল কিছু করে বা আমার কৌশলগুলাে আরাে প্রাণবন্ত করার চেষ্টা করে তাহলেই আমি বলবাে, আমি একটু হলেও সফল । আমি যে ধারা তৈরি করার চেষ্টা করছি, ইংরেজি ভাষাকে সহজবােধ্য ও আনন্দময় করার জন্য, ভবিষ্যতে হয়তাে এর ধারাবাহিকতায় আরাে অনেক ভালাে লেখক সৃষ্টি হবে, অনেক ভালাে গল্প ও কবিতা তৈরি হবে, সে প্রত্যাশায় রইলাম। গল্প, কবিতা/ছন্দে বা অন্য কোন উপায়ে পাঠদানকে আনন্দদায়ক করার এমন ধারা আমার প্রিয় বাংলায় ছড়িয়ে পড়ক- এমন প্রত্যাশা প্রতিনিয়তই করছি। পরিশেষে, আমার আশাবাদ, সকল শ্রেণির পাঠক যদি বইটি পড়ে কিছু শিখতে পারেন, তাহলে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সফল হবে। সকল শ্রেণির পাঠকসহ যারা SMS/Phone করে বইটি প্রকাশ করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন, তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ ধরনের বই যদি আরাে প্রকাশিত হয়, তাহলে এ ধারার পথিকৃৎ হিসেবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করব।
লেখক মােঃ তানভীরুল হক এর জন্ম সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানায়। ছােটবেলা কেটেছে বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা বগুড়া জেলার শেরপুর থানায়। পিতা: মােঃ ফজলুল হক; মাতা: রােকেয়া খাতুন। লেখক শিক্ষাজীবনে ছােটবেলা থেকেই মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন। ৫ম শ্রেণি বৃত্তি থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে বৃত্তি- সবই অর্জন করেছেন। দশম শ্রেণিতে থাকা অবস্থাতেই জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় পুরস্কার পেয়ে সৃজনশীল মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। মােঃ তানভীরুল হক পড়াশুনা করেন- উলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুর ডিজে হাইস্কুল, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল, সােনামুখী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু কলেজে। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে Eastern University হতে Applied Linguistics & ELT- তে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই শিক্ষকতা তার ধ্যান ও জ্ঞান; নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং গবেষণা করছেন ইংরেজি ভাষা নিয়ে। ইতােমধ্যে লেখকের প্রকাশিত বইগুলাে পাঠক সমাজে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি বইগুলােতে ইংরেজি ভাষা ও ব্যাকরণ’ সহজভাবে শেখানাের কৌশল সব শ্রেণির পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে লেখকের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযােগ্যতা সমাজের প্রতি লেখকের দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক হাজার গুণ। মাত্র ৩০ বছর বয়সেই বন্ধুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন চট্টগ্রামের প্রথম ডিজিটাল কলেজ সাউথ এশিয়ান কলেজ চিটাগাং এর; খুব অল্প সময়েই কলেজটি চট্টগ্রামে শিক্ষাক্ষেত্রে একটি আলাদা স্থান করে নিয়েছে। সাউথ এশিয়ান স্কুল প্রতিষ্ঠায়ও লেখক বিশেষ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে সাউথ এশিয়ান কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করছেন এবং গবেষণা করছেন শিক্ষার্থীদের কাছে ইংরেজি ভাষা পাঠদান আনন্দদায়ক ও সহজবােধ্য করার আধুনিক পদ্ধতি নিয়ে। সর্বোপরি ইংরেজি ভাষার উপর ব্যতিক্রমধর্মী বই লিখে যাচ্ছেন।