"ফেসবুক মার্কেটিং"বইটির প্রথমের কিছু অংশ: সােশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট বেসিক সােশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিস হলাে অনলাইন ক্যুনিটির লােকজনের মধ্যে পারস্পরিক কার্যক্রম, আগ্রহগুলােকে একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে একে অন্যের সম্পর্কে জানা, পছন্দ-অপছন্দগুলাে ভাগাভাগি করে নেয়া, ছবি, ভিডিও, চ্যাটিং ইত্যাদির মাধ্যমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তােলা যায়। এ প্রক্রিয়ায় নিজেকে অপরের কাছে মেলে ধরার সুযােগ পাওয়া যায় এবং মুহূর্তগুলাে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লােকজনের সাথে আনন্দের সাথে কাটিয়ে দেয়া যায়। পারস্পরিক এই সামাজিক বন্ধন তৈরি করাই হলাে সােশ্যাল নেটওয়ার্কিং বা সােশ্যাল নেটওয়ার্ক সেবার মূল লক্ষ্য। অধিকাংশ সােশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিসগুলাে ওয়েবভিত্তিক এবং ই-মেইল, ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সেবার মতাে বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সাথে পারস্পরিক যােগাযােগ রক্ষা করে থাকে। জনপ্রিয় সােশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মধ্যে রয়েছে মাইস্পেস, ফেসবুক, নেক্সোপিয়া, বেবাে, হাইফাইভ, ট্যাগড, জিং, স্কাইরক, অরকুট, ফ্রেন্ডস্টের, জিয়াওনেই, সাইওয়ার্ল্ড ইত্যাদি। সুপরিচিত কিছু সােশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় কয়েকটি সােশ্যাল সাইট সম্পর্কে নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হলাে। মাইস্পেস (http://www.myspace.com/) চিত্র: সােশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট myspace.com সােশ্যাল নেটওয়ার্কিং সেবা প্রদানকারী এ সাইটটি বন্ধুবান্ধব, পার্সোনাল প্রােফাইল, ব্লগ, গ্রুপ, ফটো, মিউজিক এবং ভিডিওর একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ও ইউজার সাবমিটেড নেটওয়ার্ক। বিশ্বজুড়ে কিশাের-কিশােরী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, সবাই এর ব্যবহারকারী। ২০০৩ সালের আগস্টে চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি ভাষায় এর সেবা পাওয়া যায় । ফক্স ইন্টারঅ্যাকটিভ মিডিয়া এই সাইটটির স্বত্ত্বাধিকারী। সব মিলিয়ে ১৬০০ এরও বেশি কর্মী বিশ্বজুড়ে এর সেবা প্রদানের কাজে জড়িত। বিশ্বের ২৫ কোটিরও বেশি লােক এর ব্যবহারকারী।
বাংলা ভাষায় আইসিটি বিষয়ক প্রকাশনার অগ্রদূত মাহবুবুর রহমান, এ পর্যন্ত বই লিখেছেন ১০৮টি। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৯২ সাল থেকে নিবেদিতভাবে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে লিখে চলেছেন। দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড হুজ হু’ এর নবম সংস্করণে তাঁর জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা বই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত পাবলিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং (ইউএমপি)-তে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।