“বাংলাদেশে হলুদ সাংবাদিকতা প্রবণতা ও প্রকরণ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ হলুদ সাংবাদিকতা বা ইয়ােলাে জার্নালিজম বা ইয়ােলাে প্রেস এদেশে সমসাময়িক মিডিয়াজগতের বাস্তবতায় অতি পরিচিত হলেও সার্বিক বিবেচনায় একটি জটিল ধারণা। এই অভিধাটি মিডিয়ার বৃহত্তর আয়তনে যেমন, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, টেলিভিশন, রেডিও, অ্যাডভার্টাইজিং সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমকে ঘিরে এক ধরনের বিভ্রান্তি ও ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলােতে ঘটনাক্রমে আমাদের দেশে বিষয়টি এমন বিদঘুটে আর জট পাকানাে যে, বাস্তবিক, অভিধাটি এখন ঢুকে পড়েছে আরাে সাধারণ সাংস্কৃতিক ডিসকোর্সেও। হলুদ সাংবাদিকতার অর্থ বােঝার চেষ্টা করতে গিয়ে মূলত যে কাউকেই এখন পড়তে হচ্ছে এই চলতি অথচ গুরুতর এক সমস্যায়। আসলে এর বিষয়বস্তুই হচ্ছে এর মূল সমস্যা। এই অভিধা দিয়ে আমাদের চলমান বাস্তবতায় যে বিভিন্ন আর বিচিত্র ঘটনার ব্যাখ্যা আমরা দিতে যাই সেগুলাে অনেক ক্ষেত্রে জুতসই নয়; কারণ যে সামাজিক বাস্তবতায় ভর করে এই ধারণাটি নিয়ে আমরা আলােচনা করছি সেটিই তাে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। তাই, কেউ যদি এভাবে বলে হলুদ সাংবাদিকতার সন্তোষজনক সংজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা আসলে সম্ভব নয় তাতে অবাক হবার কিছু নেই। এই ভূমিকার মাধ্যমে এখানে একই রকম সিদ্ধান্তে পৌঁছানাে ছাড়া আমাদেরও-বা আর গত্যন্তর কী? তবে এই অভিধার কিছুটা তারতম্যগত ব্যবহার আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি। তথাপি সামগ্রিকভাবে এক্ষেত্রে আমাদের যুক্তি হচ্ছে, হলুদ সাংবাদিকতার এই বিতর্ক বাস্তবে যে বিশ্বজনীন সমস্যার অবতারণা করে তা এর বিভিন্ন আপাত উপাদানের সমালােচনার বেলায় ভাষাগত দিকের সঙ্গে যুক্ত। আর তাই হয়তাে সাংবাদিকতার সমালােচনার ধারায় এটি এক ধরনের বাড়তি মূল্য পেতে পারে।
শান্তনু চৌধুরী, ভালোবাসার নাগরিক মানুষ। নদী, ফুল, পাখি, ডাহুকের বিচিত্র ডাক ওকে বিমোহিত করে। গ্রাম্য মেলায় কিশোরীর খোঁপায় ফুল গুঁজে দেয়ার স্মৃতিকাতরতা, উঠোনে কাঁথা সেলাইয়ে বসা ঠাকুরমার আঁচলে মুখ লুকিয়ে ভূতের গল্প শোনার মতো মধ্যবিত্ত শিশু বিনোদন, আর রাতের নীরবতা ভেদ করে মৃদঙ্গের তালে তালে পুঁথিপাঠের আসর ভালোবাসে শান্তনু। সমান তালে লিখে চলেছেন গল্প, কবিতা, উপন্যাস আর প্রাত্যহিক যাপিত জীবনের সাহিত্য। প্রকাশিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বই। এর মধ্যে কথা প্রসঙ্গে-, তারার অন্তরালে, প্রথম চিঠি, ফিরে এসো, নারীসঙ্গ, অন্য সময়ের প্রেম উল্লেখযোগ্য। ১৯৮০ সালের ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানায় জন্ম নেয়া শান্তনু চৌধুরী নৈসর্গিক প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ শেষ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এখন চলছে স্বশিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা। কাগুজে, অন্তর্জালিক, শ্রুতিনির্ভর ও দৃশ্যমান সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন শান্তনু। বর্তমান ব্যস্ততা টেলিভিশনের অন্দরমহলে।