”আজি এ বসন্তে” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপের লেখা: সােহান ও নিতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুজন শিক্ষার্থী। একে অপরকে ভীষণ ভালােবাসে তারা। রাত ১২ টা এক মিনিটে নিতুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে রােকেয়া হলের দেয়াল টপকে নিষিদ্ধ এলাকার ভিতর ঢুকে পড়ে সােহান। তার হাতে একগুচ্ছ তাজা গােলাপ। দেয়ালের অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে নিতু। দেয়াল টপকেই নিতুকে পেয়ে যায় সে। কেটে যায় কিছু সময়। অতঃপর তাদেরকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আটক করেন হলের নিরাপত্তাকর্মী রহিম ও মান্নান। অল্প সময়ের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। হলের হাউজ টিউটররা ছুটে আসেন। একটু পর আসেন হলের প্রােভােস্ট দিলরুবা খানম। যাকে জাদরেল ম্যাডাম হিসেবেই চিনে সবাই। সােহানকে হলের গেস্টরুমে আটকে রাখা হয়। সকালে ভিসি স্যারের সভাকক্ষে বিচার বসে। বিচারে চিরদিনের জন্য বহিষ্কার করা করা হয় নিতুকে। বেঁচে যায় গুলশানে বসবাসকারী ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান সােহান...। অপরদিকে সােহানের একমাত্র বােন বুবলি প্রায় রাতেই ঘুমের ভেতর একটি ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে; একজন মানুষকে ধারালাে ছুরি দিয়ে খুন করার জন্য কে যেন তাকে বারবার তাড়া করে ফিরে। ছুরি নিয়ে সে এগিয়েও যায়। কিন্তু যাকে খুন করবে, তাকে চিনতে পারে না সে। একদিন স্বপ্নের মাঝে লােকটিকে চিনে ফেলে বুবলি । অত:পর ঘুম থেকে জেগে খুন করার জন্য এগিয়ে যায় সে। কিন্তু পারে না। লােকটির বুকে ছুরি চালাতে পারে না সে। কেননা লােকটি তার জন্মদাতা পিতা। হাতের ছুরি ফেলে দৌড়ে নিজ রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। তারপর সিলিং ফ্যানের সাথে গলার ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে বুবলি...
হাবিবুর রহমান জুয়েল, বয়সে তরুণ হলেও যােগ্যতায় দক্ষ রূপকার। তার ধারালাে ও সাহসি লেখা দিয়ে উত্তরােত্তর জয় করে চলেছেন পাঠকের হৃদয় । চাদপুর জেলার ফরিদপগঞ্জ থানাধীন চররাঘবরায় গ্রামে এই জীবনদর্শী লেখকের জন্ম। তাঁর পিতা আলহাজ রুহুল আমিন পাটওয়ারি; মাতা ফয়জুন নেসা বেগম। পড়াশুনা; ঢাকার নটরডেম কলেজ; তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে সম্মানসহ এম এ। বছর চারেক দৈনিক ইত্তেফাকে ফিচার প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। সাহসি বক্তব্য তুলে ধরার জন্য তার লেখা রঙিন ফানুস উপন্যাসটি পাঠক মহলে বেশ আলােড়িত হয়েছে। এ ছাড়া তার কেউ নেই উপন্যাসটিও পাঠক মহলে নন্দিত হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি বিশিষ্ট জীবনশিল্পী হবেন-এই বিশ্বাস ও প্রত্যাশা রইলাে।