রহু চণ্ডালের হাড় বাংলা উপন্যাসের পরিকাঠামোয় একটি নৈসর্গিক যোজনা। বাংলা উপন্যাসের চরিত্র চিত্রণ ও গাঠনিক নির্মাণে অভিজিৎ সেন নতুনত্বের পরিচয় দিয়েছেন। গোষ্ঠী জীবনের কথকতার আড়ালে জীবনের লক্ষ্য ও আবেগের বিষয়কে আশ্রয় করে ঔপন্যাসিক বিনির্মাণ করেছেন এক বিশেষ জগৎ- বাংলা কথাসাহিত্যের প্রথাগত কাঠামোবদ্ধ বিষয় ও আঙ্গিকের ছকে থেকেও একটি যাযাবর গোষ্ঠীর জীবনযাপনের প্রতিচ্ছবি আঁকতে গিয়ে ঔপন্যাসিক দেড়শ বছরের ইতিহাসের নানাবিধ বাঁককেও চিহ্নিত করতে পেরেছেন সহসাই। ফলে রহু চণ্ডালের হাড় শুধু উপন্যাস কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে নি, বাজিকরের বোহেমিয়ান জীবন সংস্কৃতির সমান্তরালে এই ভূখণ্ডের জাতিতাত্ত্বিক বিভাজনটিও সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সাধারণ ও দীক্ষিত পাঠকের পাঠ তালিকায় রহু চণ্ডালের হাড় শুধু শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিকাতর কোনো বিদ্যুৎস্পৃষ্টিত হওয়া কোনো বিরল ঘটনা নয়, পাঠকের মনে এর বহুমাত্রিকতা দাগ কেটে যায়, পাঠক বিহ্বল হয়ে পড়ে, রহু’র জাদুতে নিজেকে চিনতে পারে। রহু’র পাঠপরিক্রমার সমান্তরালে এই প্রাসঙ্গিক পাঠ পাঠকের ইতিহাস চেতনার বিপরীতে ভৌগোলিক অবস্থানের প্রেক্ষিতে রহু’কে আবিষ্কারের সুলুকসন্ধানের প্রয়াসও পেতে পারে।
২৩ অক্টোবর ১৯৮৪। নাড়িমাটি দিনাজপুর। শৈশব থেকেই পায়ে শর্ষে, ভ্রমণের অদম্য নেশা সাধ্যের বাইরে টেনে নিয়ে যায় প্রায়শই এবং এটিই একমাত্র শখ। কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ শূন্য দশকে; সমান্তরালে গল্প ও গদ্য লিখছেন। এছাড়া নিয়েছেন বেশকিছু মহার্ঘ্য সাক্ষাৎকার। ঢাকায় থিতু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করছেন।