এস এম রানা নবীন-লেখক। আমাদের দুবাইওয়ালা তাঁর প্রথম বই। নাম থেকেই বোঝা যায় দুবাইয়ে প্রবাসরত বাঙালিদের নিয়ে তিনি বইটি লিখেছেন। দুবাইকে বলা হয় সোনার শহর। পৃথিবীর ধনী শহরগুলোর একটি হচ্ছে দুবাই। আজ থেকে বছর ত্রিশেক আগে বাঙালি যুবকদের মধ্যে দুবাই যাওয়া ছিল বিশাল স্বপ্ন। তাঁদের ধারণা ছিল কোনো রকমে একবার দুবাই পৌঁছাতে পারলেই জীবন বদলে যাবে। দারিদ্র্য ঘুচিয়ে সচ্ছল হবে নিজের জীবন। তখন থেকেই দুবাই যাওয়ার হিড়িক পড়ে। যে স্বপ্ন নিয়ে সেখানে যায় আমাদের মানুষগুলো, অনেকেরই সেই স্বপ্ন পূরণ হয় আবার অনেকেরই হয় না। তাদের স্বপ্ন থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার পরও দুবাই যাওয়ার স্বপ্ন কমেনি আজও। এখনো সেই সোনার দেশে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করেন অনেকে। এস এম রানা তাঁর আমাদের দুবাইওয়ালা বইতে এসব মানুষের কথাই লিখেছেন। একটানা অনেকদিন দুবাইয়ে থেকে, সেখানকার বাঙালিদের সঙ্গে মেলামেশা করে, মানুষগুলোর দুঃখ-বেদনা এবং আনন্দ অনুধাবন করে লিখেছেন এই বই। প্রবাসজীবনের বহু কিছু উঠে এসেছে তাঁর বইতে। লেখাগুলো কালের কণ্ঠের ‘দ্বিতীয় রাজধানী’ পাতায় ছাপা হয়েছে। দ্বিতীয় রাজধানী বলতে আমরা চট্টগ্রামকে বুঝি। রানার বইতে দুবাইপ্রবাসী চট্টগ্রামের মানুষদের কথাই বেশি উঠে এসেছে। আশা করি এই বই পাঠকের ভালো লাগবে। ইমদাদুল হক মিলন
জন্ম : ১৪ আগস্ট ১৯৮০ সাল। জাতির বিবেক অধ্যাপক আবুল ফজলের জন্ম : গ্রাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়ায়। বাবা মরহুম আলহাজ শফিকুর রহমান, মা মায়মুনা খাতুন। স্ত্রী শিকিক্ষা আফরোজা বেগম রুমি। দুই সন্তান এস এম রাফী ও এস এম সাফী। পটিয়া সরকারি কলেজে শিাজীবন শেষে সাংবাদিকতার জগতে। ২০০১-২০০৯ পর্যন্ত প্রথম আলোর সাতকানিয়া প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন। ২০০৮ সালে প্রথম আলোর ‘দেশসেরা সাংবাদিক’ পুরস্কার লাভ। ২০১০-এর জানুয়ারিতে কালের কণ্ঠে যোগদান। বর্তমানে কালের কণ্ঠের চট্টগ্রাম অফিসে স্টাফ রিপোর্টার। ২০১৪ সালে কালের কণ্ঠের ‘সেরা সাংবাদিক’ পুরস্কার লাভ।