"হজরত শাহজালাল (রহ.)" বইটিতে ফ্ল্যাপে লেখা কথাঃ ড. মির শাহ আলম ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ পরিচালক, শিক্ষা পদে বাংলাদেশ বেতার, সদর দপ্তরে যোগদান করেন। এর আগে বাংলাদেশ বেতার বরিশাল ও সিলেট কেন্দ্রে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া কিছুদিন সদর দপ্তরের (অনুষ্ঠান) পরিচালক হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার অনুষ্ঠান সংগঠক পদে যোগদান করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (১৯৮৮), এবং কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় কৃষি অফিসার (১৯৯০)হিসেবে কাজ করেন। গবেষণা করেছেন রাসায়নিক সারের বিকল্প জৈবসারের ভূমিকা নিয়ে। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। ড. মির শাহ আলম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন—এর মধ্যে আইন, ব্যবসাপ্রশাসন, ইংরেজি সাহিত্য, কম্পিউটার, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য এবং আয়ুর্বেদী চিকিৎসাশাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতো বিষয় উল্লেখ যোগ্য। ১৯৮৭ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন, স্টাডি ইন এগ্রিকালচার (IPSA), শালনায় অধ্যয়নরত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সর্বোচ্চ এনএসটি (NST) বৃত্তি লাভ করেন। NAIU (New Age International University) India থেকে ২০১০ সালে তিনি সাংবাদিকতা নিয়ে পিএইচ.ডি অর্জন করেন। রোটারিয়ান ড. মির শাহ আলম জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন, আইন সেবা সংগঠন (ক্লেব), ললিতকলা একাডেমি, মানবাধিকার সংস্থা, বাংলদেশ ফিমেইল একাডেমি, কৃষিবিদ গ্রুপ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি, বাংলাদেশ স্কাউট, লায়ন্স এবং রোটারি হাসপাতাল। সূ চি প ত্রঃ উপক্রমণিকা ৯ জন্ম ও বংশপরিচয় ২৯ আধ্যাত্মিক শিক্ষা লাভ ও দিল্লিতে গমন ৩৪ তৎকালীন সিলেটের অবস্থা রাজা গৌড়গোবিন্দ ও প্রাসঙ্গিক ঘটনা ৪০ হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর সিলেট বিজয় ৪৭ সিলেট পরথম আজান ধ্বনি ৫০ শাহজালাল (রহ.)-এর হুজরা স্থাপন, প্রশাসনিক দায়িত্বভার অর্জন ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ৫২ শাসনব্যবস্থার ধরন ৫৪ হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর সাদাসিধে জীবনযাপন ৫৫ শাহজালাল (রহ.)-এর ইন্তেকাল ৫৭ হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর আধ্যাত্মিক শাজারাহ' বা খিলাফত লাভের ক্রমসূত্র ৫৮ হজরত শাহজালাল (রহ.) ও তাঁর সঙ্গীদের মাজার পরিচিতি ৬০ শেষের কথাঃ সংস্কৃতি কলেজ, ব্লাড ব্যাংক, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন, ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযোদ্ধা পাঠাগার, প্রফেশনাল মালটিপারপাস সোসাইটিসহ ৫০টি সংগঠনের উপদেষ্টা ও আজীবন সদস্য। তিনি আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ এবং বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্রজীবনে প্রথমে কাব স্কাউট পরে বয় স্কাউট এবং রবারমুড করেন। তিনি টুপ লিডার ও পেট্রোল লিডারের দায়িত্ব পালন করেন। এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্কাউট ক্যাম্পে বিশেষ করে শাহজিবাজার, কমলাপুর, সৈয়দপুর, মৌচাক, তৎকালীন (৭৬) নির্মীয়মাণ জাতীয় সংসদ ভবনের জাম্বুরিতে দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সরব অংশগ্রহণ ও সাফল্য ছিল তাঁর। স্কুলে ‘ইন্টার স্কুল ফুটবল দলের ক্যাপটেনের দায়িত্ব পালন করেন। কলেজ পর্যায়ের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এবং জেলা পর্যায়ে কুমিল্লা জেলার পক্ষে চট্টগ্রামে ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১-এ আখাউড়ায় অবস্থানকালীন দেশ ক্রেকডাউন হলে ২৬ মার্চ বাবার সঙ্গে ভারতের আগরতলায় চলে যান। বাবা মির মনসুর আহমেদ মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং তিনি পরিবারের সঙ্গে উলঙ্গনগর ক্যাম্পে থেকে যান। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে ভারতের আগরতলা উলঙ্গনগর ক্যাম্পে পাক হানাদার বাহিনীর মর্টার সেলের কণার আঘাতে আহত শিশু মুক্তিযোদ্ধা মির শাহ আলম ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার টঙ্গিতে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা সেতারা বেগম এবং পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মনসুর আহমেদ। পারিবারিক জীবনে তিনি একপুত্র ও এককন্যা সন্তানের জনক। সহধর্মিণী অধ্যাপক ডা. জামিলা খাতুন একজন স্বনামধন্য গাইনিবিশেষজ্ঞ।
D. Mir Shan Alam ১৯৬২ সালের ১ জানুয়ারী গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মির মনসুর আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । কর্মজীবনে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন প্রকৌশলী। তাঁর মায়ের নাম সেতারা বেগম। জনাব আলমের শৈশব কেটেছে আখাউড়া রেলওয়ে কলোনীতে। তিনি শিক্ষাজীবন শুরু হয় আখাউড়া, কুমিল্লাতে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে কলেজ শিক্ষা গ্রহণের পর ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে কৃতিত্ত্বের সাথে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতোকত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা জীবনে জনাব আলমের বহু অর্জন রয়েছে। তিনি বহু বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন। যুক্তরাষ্টের নিউ এজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে কৃষিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. আলম ১৯৯১ সালের ১৮ই জানুয়ারী প্রফেসর ডা. জামিলা আলমকে বিয়ে করেন। পারিবারিক জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। তাঁর পুত্রের নাম জামিল আলম জেবাল ও কন্যার নাম সৈয়দা সাতারালুম মানসুরা একুশ। বাংলাদেশ সরকারের ৮ম সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ড. আলম একজন কৃষি অফিসার (ক্যাডার) হিসাবে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে ৯ম বিসিএস পরীক্ষায় সহকারী পরিচালক হিসাবে বাংলাদেশ বেতারে নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বেতারের বানিজ্যিক কার্যক্রমের পরিচালক।