"বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভারত" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বাংলাদেশ-ভারত উভয় পক্ষকেই স্মরণ রাখতে হবে, বাংলাদেশ-ভারত ঐতিহাসিক, ভৌগােলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দিক হতে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত; যা দুই রাষ্ট্রের ইতিহাস, সভ্যতা, সংস্কৃতির কিছু পর্যায় ও ক্ষেত্রে, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থগুলােকে একটি অভিন্ন রূপ দিয়েছে এবং দুই রাষ্ট্রের বহুমুখী জাতীয় স্বার্থকে পরস্পরের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত করেছে। কারণ নানাবিধ ঐতিহাসিক, ভূ-রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, ধর্মীয়, মনস্তাত্ত্বিক, রণকৌশলগত সম্পর্ক স্বার্থ, সহযােগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার অবস্থান, পরিস্থিতি, সম্পর্ক, স্বার্থ, সমস্যা, বিরােধ বিশ্বের অন্য সব রাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মতাে হাতে গােনা, কৌশলগত, সাময়িক নয় বরং চিরস্থায়ী, অবিচ্ছেদ্য, অসংখ্য ব্যাপক গভীরতর, বহুমুখী জটিলাকৃতির। যার প্রভাব দুই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ জাতীয় হতে দ্বিপক্ষীয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে সুবিস্তৃত...। একাত্তরের চেতনা বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভাবাদর্শ মানে নিছক উগ্র পাকিস্তান বিরােধীতা নয় তেমনি অযথাচিতভাবে ভারত প্রীতি বা তার দালালি করাও নয়। ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার' বা বীর বাঙালির হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার বহুল প্রচারিত এই স্লোগানটি সাধারণ দেশপ্রেমিকদের রক্তের ধমনীর গতিকে উত্তেজিত করে তােলে নিঃসন্দেহে। তবে তা যেন দেশ-জাতি-সমাজ গড়ার শান্তি ও অগ্রগতির জন্য হয়। যেকোন বহিঃ রাষ্ট্রশক্তি, জোট বা সংস্থার চাপ, হুমকি, আগ্রাসন, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে হয়। তা যেন কখনাে দেশকে অস্থিতিশীল বা জাতিকে বিভক্ত করার জন্য, ভাতৃঘাতী বিরােধ, বিদ্বেষ, সংঘাত সৃষ্টি বা বাধানাের জন্য, দেশকে ধ্বংস করার জন্য, দেশের সাধারণ মানুষের রক্ত ঝড়ানাের। জন্য না হয় এটাই সকলের প্রত্যাশা...