সারা গ্রামজুড়ে লোকমুখে আলোচনার যে প্রতিপাদ্য বিষয়, তা ওই একটি ঘটনা- 'তিল কীভাবে তাল হয়, তার অনন্য কারুক্ষেত্র' যেন পত্রিকার ফ্রন্ট পেইজের লাল কালির বড় বড় অক্ষরের হেডলাইন! লোকে লোকে কানে-মুখে সমস্ত ঘটনাটা সংবাদমাধ্যম 'বিবিসি, রয়টার্স'কেও হার মানিয়েছে। অবুঝ শিশু থেকে শুরু করে বয়সের ভারে নুয়ে যাওয়া দেহটাকেও চাঙ্গা করে তুলেছে। শুধু কি তাই? অন্যদিকে রাঘববোয়াল সমাজমনস্ক সমাজপতিরা বড়ই উতলা হয়ে পড়েছে সমাজ সুদ্ধির অপরিসীম মহৎ কার্যে। প্রত্যেকে উক্ত ঘটনা শোনা মাত্রই জিহ্বা আর তালুর সমন্বয়ে দু-চারটে শব্দ করে, যা শুনে প্রভুভক্ত প্রাণী কুকুর লেজ নাড়াতে শুরু করে! তবে কেউ কেউ তিরস্কারার্থে আবার অনেকে দুঃখ পেয়েই এমন আফসোসসূচক শব্দটা করে। কারণ অমানুষের মাঝে মানুষও তো কম-বেশি থাকে। এ ঘটনা শুধু গ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তা নয়, থানা-পুলিশও হয়েছে। থানার কোনো এক বড় অফিসার ব্যাপারটা গ্রাম্য সালিশব্যবস্থায় মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলেই আজ গ্রামে বিচার সভার আয়াজন করা হয়েছে। প্রথমত যে মুখটা সভায় সবাই দেখেছে তার নামটা বেশ পরিচিত। তার নামের আগে-পরে কতগুলো বিশেষণ রয়েছে। কেউ বলে- 'নেতার ডান হাত, কেউ বলে ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, পিকেটার, লম্পট।'
জন্ম ১৯৯২ সালে পিরোজপুর জেলার দুর্গাপুর গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে। পিতা: মো. লিয়াকত হোসেন হাওলাদার, মাতা: হাসিনা বেগম। এক বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। ছোটবেলা থেকেই অন্যদের থেকে একটু আলাদা প্রকৃতির। তার ভাবনায় জাত- পাত, ধর্ম-বর্ণের কোনো বৈষম্য নেই। পৃথিবীর এই প্লাটফর্মে 'সবার ওপর মানুষ সত্য' এ সত্যকে বুকে লালন করেন। সাম্যবাদী চেতনায় উদ্দীপ্ত, তাই ধর্মীয় গোড়ামি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে দীর্ঘদিন যাবত ক্লান্তিহীন আত্মচেষ্টায় নিমগ্ন আছেন। অধিকার বঞ্চিত মানুষের পূর্ণ অধিকার ফিরে পেতে সে প্রতিষ্ঠা করেন 'বাংলাদেশ মুক্তিকামী জনতা পার্টি'। নতুন প্রজন্মের জ্ঞানচর্চা ও বিকাশে এবং স্বশিক্ষিতজাতিতে পরিণত করতে তার বন্ধুদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করেন- 'প্রজ্ঞা স্যোশাল পাবলিক লাইব্রেরি'। 'স্বদেশ বাণী' পত্রিকা তার হাত ধরে কোটি মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে যাবে একবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি এমন আত্মপ্রত্যায় ব্যক্ত হয় লেখকের মননশীল চিন্তাভাবনায় ও ক্রিয়াকর্মে। সর্বশেষ লেখকের এটাই অভিব্যাক্তি তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান মানুষ হয়ে, বন্ধু হয়ে।