কিছু কথা সত্যি বলতে কী- একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা থেকেই লেখালেখির অভ্যাসটা শুরু। স্কুলজীবনের গন্ডি থেকেই মাঝে মধ্যে কবিতা লেখার অভ্যাসটা হলেও, কবিতাগুলাে সংগ্রহে রাখার চিন্তাভাবনা করতাম না এবং কখনাে করিনি, তবে যতদূর মনে পড়ে, ছাত্র থাকাকালে স্কুল থেকে প্রকাশিত কুঁড়ি' নামক বার্ষিক একটি ম্যাগাজিনে একটি নাম লিটন' নামে একটি ছড়া প্রকাশিত হয়েছিল। কর্মজীবনটা শিক্ষকতার পেশা দিয়েই শুরু হলেও জীবনের লক্ষ্যের পাতায় শিক্ষক হওয়ার মতাে স্বপ্নের কথাটুকু কখনাে লেখি নি, কিংবা কখনাে ভাবি নি। কিন্তু এই মহান শিক্ষকতার পেশায় নাম লেখানাের কারণে অবসর সময়ে পারিবারিক ঝামেলা আর ব্যক্তিগত অবসরের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা, গল্প লিখতাম এবং সেগুলাে সহকর্মীদের দেখানাের কারণে তারা তা প্রকাশ করার জন্য উৎসাহ দিতে কার্পণ্য বােধ করেন নি। পারিবারিক আর ব্যক্তিগত ঝামেলায় বিষন্ন চিত্তে যখন তখন নিশ্ৰুপ বসে থাকতাম, সেই সুযােগটা কাজে লাগিয়ে সহকর্মীবৃন্দ, হঠাৎ একটি মিসকলের মাধ্যমে আমার জীবনের স্বপ্নের স্বপ্নগুলাে বেশ নাড়িয়ে দেয় এবং ঘটাও করে জমানাে সেই স্মৃতিগুলাে নিয়েই গল্পের মতাে করে কত কী যেন মনের অজান্তে লিখে ফেলাম। আর সহকর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় উপন্যাসটির নামকরণটাও করা হলাে ‘হঠাৎ মিসকল। সহকর্মী জনাব খােরশেদ আলম ও আমি নিজেই অতীব ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে লেখাগুলাে টাইপ করেই সময়মতাে প্রকাশের ব্যাপারে যার পর নাই চেষ্টা করেছি। আবার যাদের কথা ভুলি নি, তারা হলাে আমার প্রাণ প্রিয় ছাত্রছাত্রী। যাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্নটুকু দিব্যি খুঁজে বেড়াই। তবে যে কথাটুকু বলা হলাে না, তা হচ্ছে ডিসেম্বর ২০১৩ইং, উপন্যাসটি ছাত্রছাত্রীদের উপহার দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আর্থিক অসুবিধার কারণে তা দেয়া সম্ভব হয় নি, তার জন্য আন্তরিকভাবে দুবেল সু লেখক হিসেবে লেখা আর কাল্পনিকতায় ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়াই স্বাভাবিক। ধরে নিয়েই পাঠক সমাজের নিকট মার্জনাটুকু প্রার্থনা করছি।