"মারেফতের ভেদতত্ত্ব" বইয়ের ভূমিকার অংশ থেকে নেয়া: ১ মিসরের জামেয়াতুল আযহার-এ থাকাকালীন ভেবেছি দারুল হাদীস কায়রাে, দারুল কলম দামেস্ক, দারুল কুতুব বৈরুতমানের একটি লাইব্রেরী করব। হাত বাড়ালেই যেন এখানে ওইসব বিশ্বমানের কিতাব পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করব। আল্লাহর শােকর কিছুটা হলে ইলমপিয়াসীদের সে চাহিদা মেটানাে গেছে। কিন্তু এখানেই কী শেষ। উপমহাদেশের কওমী শিক্ষার মাধ্যম উর্দু ভাষা। এই ভাষায় দরসী-গায়রে দরসী কিতাবগুলােরও এক্সিভিশন দরকার ছিল। মাকতাবা সে কাজও করেছে। পাক-ভারত ও বাংলার কিতাবও এখন মাকতাবার সেলফে দেখা যায়। রয়ে গেল বাংলাভাষায় পদচারণা। সে কাজও আমরা স্বল্পবিস্তর শুরু করেছি। বাংলাসাহিত্যের কিছু প্রতিশ্রুতিশীল কলমসৈনিক ইতােমধ্যে আমাদের কাফেলার সহযাত্রী হয়েছেন। আরাে অনেকেই হতে যাচ্ছেন। বক্ষ্যমাণ ‘ভেদতত্ত্ব’ এমনই এক প্রতিভাবান তরুণের অনুবাদ। ফরহাঙ্গে জাদীদ’ যার হাতধরে এসেছে, ‘ভেদতত্ত্বও সেই হাতের নিপূণ ছোঁয়া। আমরা তার আরাে কিছু আলােড়ন তােলা পাণ্ডুলিপি হাতে নিয়েছি। আশাকরি তা পাঠককুলের জন্য অনন্য সংযােজন হবে। পরিশেষে পাঠকবৃন্দের দোয়া চাই এবং পীর মুরিদী লাইনের ক্ল্যাসিকাল এই কিতাব দ্বারা দেশের খানকা ও আধ্যাত্মজগৎ উজ্জ্বল হােক এই কামনায় যতি টানছি।
জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি (জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৫৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার সুফি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের ‘ঝং’ জেলায় অবস্থিত মাহদুল ফাকির আল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে ভারত ভ্রমণ করেন ভারতের হায়দরাবাদের ঈদগাহ বিলালী মনসাব ট্যাঙ্ক ও চঞ্চলগুদা জুনিয়র কলেজে কয়েকটি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তারপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদ এবং দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন।