"বাংলা ভাষার ইতিহাস" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বাংলা আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। জীবনের সবখানে বাংলা ভাষা ব্যবহারে বাংলাদেশের মানুষ আজ অঙ্গীকারাবদ্ধ। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বদেশচেতনার শুরু হয়েছিল তার ধারাবাহিক পরিণতিতে আজ আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের গর্বিত নাগরিক। তাই বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের ভালবাসা আরও অকৃত্রিম ও নিবিড় করতে হবে। বাংলার মর্যাদাপূর্ণ সুন্দর ব্যবহারে আমাদের আরও যত্নশীল হতে হবে। সেজন্য বাংলা ভাষার ইতিহাস জানা অপরিহার্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাষাবংশ ইন্দো-ইউরােপীয় মূলভাষাগােষ্ঠীর অন্তর্গত বাংলা ভাষা সুদীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য নিয়ে বর্তমান রূপে উপনীত হয়েছে। দীর্ঘ তার পথ রেখা, গৌরবান্বিত তার সমৃদ্ধি। বাংলা আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষাগুলাের সমপর্যায়ভুক্ত। বাংলা ভাষা কীভাবে বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমানের গৌরবান্বিত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে তা জানা দরকার। তার সুদীর্ঘ চলার পথটি যেমন আমাদের দেখার দরকার, তেমনি সমগােত্রীয় ও সমকালীন ভাষাগুলাের পরিস্থিতিও আমাদের অবহিত হওয়া প্রয়ােজন। বাংলা ভাষার দীর্ঘ ঐতিহ্য, তার সমসাময়িক সমৃদ্ধি জানার জন্য বর্তমান বইটি লেখা। সাম্প্রতিক কালে বাংলাভাষার নানাদিক নিয়ে ব্যাপক আলােচনা হয়েছে। সেসব আলােচনার প্রেক্ষিতে বর্তমান বইটির রূপ দেওয়া হয়েছে।
কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক মাহবুবুল আলম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন। হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মােল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ। করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য। শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিণী। রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম। তাদের ষষ্ঠ সন্তান এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ।। স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তর দশকের গােড়ার দিক থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার। বার্তাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন পক্রিকায় লেখালেখির। মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে। একই সাথে। প্রসূন সাহিত্যাঙ্গনের সম্পাদক হিসাবে। মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের। মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ প্রসূন সম্পাদনা করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও। সাময়িকীতে নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,। কলাম লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন। এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), পল্লীচিত্র এ্যাওয়ার্ড ২০০৭ এবং ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ভাষা প্রকাশ ও কাব্যমালঞ্জলি পুরস্কার। (২০১০) বিন্দুবিসর্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, গাইবান্ধা সম্মাননা-২০১১, জাতীয় কবিতা পরিষদ। বুর জেলা শাখা সম্মাননা-২০১১, সংশপ্তক বঙ্গবীর। ওসমানী পদক, অলইডিয়া চিলড্রেন লিটারারী। কষ্টতে উৎপল হােমরায় স্মৃতি পুরস্কার-২০১২। ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা। সনা -২০১২, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা। সমৰ২০১৩, ইংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা২০১৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রজত ও বন গবেষণা গ্রহের জন্য।