আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। صلى على رسوله الگري. أما بعد : قال النبي صلى الله عليه وسلم : إنما الأعمالو البنات ইমাম আব্দুল ওয়াহাব শা’রানী ছিলেন হিজরী দশম শতাব্দীর প্র ইমাম । তিনি ছিলেন অত্যন্ত বড়মাপের আলেম। তিনি বলেন, মাশায়েখ আমাদের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন । সে কথাই শােনাচ্ছি, আর তাআলা তাওফীক ও হিম্মত দান করুন । আপনারা এমনিতেই বসে আছে। আপনাদের এখন নামাযও পড়তে হবে, সময় হয়ে এসেছে; খানাও খেতে হয়ে সময়ও তেমন নেই । সফরের ক্লান্তিও রয়েছে । হযরত বলেন, মূল জিনিস হলে ইখলাস । ইখলাসের অর্থ হলাে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা। এ হলো সত্যিকার ইখলাস । পক্ষান্তরে কেউ মনে মনে বলল যে, আজ নামাযে লম্বা রুক করতে হবে যাতে সে আমার ভক্ত হয়ে যায় । নামায ঠিক আছে । কিন্তু কী হবে, সে আমার ভক্ত হয়ে যাবে । আমাকে কিছু নজরানা দেবে । কিংবা লােকে নজরানা দিক বা না দিক আমার নামাযেই সেরা। এটা কী? হ্যা, এটা দুনিয়া । আল্লাহর জন্য কাজ করা নয় । এরূপ নামায কবুল হয় না। এ নামায মুখের ওপর নিক্ষেপ করে দেয়া হয়। এটা একটা কিছু বটে, তবে খেয়ালটা আমলে। পরিণত না হলে তাকে আরবী ভাষায় ‘খাতের’ বা মনে কোনাে কিছু ভেসে উঠা বলা হয় । কেউ যদি খেয়াল মােতাবিক আমল না করে তাহলে সে অপরাধী বলে। গণ্য হবে না। যেমন: নামাযে টাকা-পয়সার খেয়াল এলাে কিন্তু সে তাকে পাত্তা দিল না ।। আমিতাে বলি যে, মানুষ কোনাে দ্বীনী কাজ করলে তিন কারণেই করে। থাকে। যেমন: তারাবীহ নামায নিয়ে একজন হাফেজ সাহেবের খেয়াল জানতে চাইলে বলতে লাগলেন, কয় খতম তারাবিহ পড়বেন? বলা হয় এক খতম । বললেন, হাদিয়া কত? জানা গেল তিন হাজার । কবে খতম করবেন? ২৭ তারিখে । আর যদি ২০ তারিখে খতম করান তাহলে দু’হাজার । তারাবীহ নামায নিয়ে যদি কোনাে হাফেজ এমন দর-দাম করেন তাহলে এমন লােকের কোনাে