অভিযােগ-অপবাদ ও অনর্থক সমালােচনা থেকে স্বয়ং আল্লাহ, তার মত রাসল, তাঁর পবিত্র কালামও রক্ষা পায়নি। যখন দাওয়াত ও এর অতনত সামনে এগিয়ে যাওয়া এবং নিবেদন করার কর্মসূচীর নাম, যেখানে আয়ােজনমাফিক সমালােচনার জওয়াব দেওয়া হয় এ কারণে উম্মতের আকাবির কীয় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং অন্তদৃষ্টি দ্বারা গঠনমূলক সমালােচনাকারীর প্রতি দাওয়াতী কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করে নিকট থেকে পর্যবেক্ষণ করার আহবান। জানিয়েছেন। অপরদিকে উদ্দেশ্যমূলক কটাক্ষকারীকে তার স্বীয় অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে মুকাল্লিবুল কুলুবের (আল্লাহ তা'আলা) দরবারে তার হেদায়াত লাভের জন্য দোআ করতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মাশায়েখগণ লিখেছেন, এটি একটি বাস্তবতা যে, অযথা সন্দেহ পােষণ ও খাহেশের অনুসরণ মানুষের দ্বীনকে ধ্বংস করে দেয়। খাহেশের চিকিৎসা হবে আত্মার সংশােধন করলে এবং অযথা সন্দেহ কিংবা ধারণা দূর হবে দৃঢ় মজবুত ইলমের অধিকারী ব্যক্তিত্বের সােহবতে থাকলে। এই কারণে শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা যাকারিয়া মুহাজিরে মাদানী রহ. ইলমী দৃষ্টিকোণ থেকে। পুরােপুরি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তাবলীগী জামাত ও ফাযায়েলের কিতাবসমূহের উপর আরােপিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও অভিযােগের জওয়াব দিয়েছেন। আজকাল এ বিষয়ে অনেক সন্দেহ-ধারণা, কটু কথা, মন্তব্য ছোঁড়াছুঁড়ি, দাওয়াত ও তাবলীগের সাথী অথবা ফাযায়েলের কিতাবসমূহের পাঠকবৃন্দের অন্তরে বিভিন্ন প্রকারের প্রােপাগাণ্ডা তৈরী করে দ্বীনের সার্বজনীন উপকারী ও কুরআন ও সুন্নাহয় বর্ণিত আম্বিয়ায়ে কেরামের পন্থার অধিক নিকটবর্তী এই মেহনত থেকে দূরে সরিয়ে অপরিচিত করে দিচ্ছে। এর ফলে প্রভাবিত সত্যের অনুসন্ধানীদের জন্য আকাবিরগণের বিভিন্ন বক্তব্য, লিখা অথবা তাদের সংক্ষিপ্ত জবাবকে বিস্তারিতভাবে গ্রন্থাকারে রূপ দেওয়া হয়েছে। আলােচ্য গ্রন্থখানি রচনা করতে গিয়ে আওয়াম-খাওয়াস তথা সর্বসাধারণের পক্ষ থেকে শত-শত প্রশ্ন, চিঠি ও ভুল বােঝাবুঝির প্রতি ইঙ্গিত বহন করে এমন অসংখ্য পত্র আমাদের সামনে আসে। কিন্তু ওগুলাের উল্লেখ দীর্ঘসূত্রতার আশঙ্কায় এখানে করা হয়নি। গ্রন্থটি যাতে প্রমাণ্য ও নির্ভরযােগ্য হয় এবং শিক্ষিত শ্রেণী ছাড়াও সাধারণ লােকেরা এ থেকে উপকৃত হতে পারে এর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। এই কারণে