"দোয়া কেন কবুল হয় না "বইটির প্রথমের কিছু অংশ: يث أن الخلج দোয়া কেন কবুল হয় না দোয়ার আভিধানিক অর্থ ও ডাকা, প্রার্থনা করা, চাওয়া, আহ্বান করা, আমন্ত্রণ করা, বিনীত নিবেদন করা ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে দোয়া হল, মহান সৃষ্টিকর্তা, মালিক ও মনিব আল্লাহ রাব্বল আলামীনের কাছে বিনয়, নম্রতা ও যথাযােগ্য সম্মান মর্যাদা এবং ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করা, সাহায্য চাওয়া, মনের আকুতি ও হৃদয়ের বাসনা পূরণের নিবেদন করা, তাঁর সন্তুষ্টি প্রার্থনা করা, তাঁর অসন্তুষ্টি থেকে মুক্তি চাওয়া, তাঁর প্রকৃত দাস ও অনুগত বান্দা হবার তাওফীক কামনা করা, জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া, জান্নাত লাভের প্রার্থনা করা, তাঁর দয়া ও রহমতের আবদার করা, যাবতীয় নেকী ও কল্যাণের আবেদন করা, যাবতীয় অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চাওয়া এবং সত্য ও নেকীর পথে চলার হিম্মত, ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রার্থনা করা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ প্রার্থনা করা। দোয়া একটি ইবাদত, তাই দোয়া কেবল আল্লাহর কাছেই করতে হবে । কোন বিচারকের নিকট দরখাস্ত পেশ করতে গেলে সাধারণত তার মঞ্জুরী নিয়ে আমাদের মনে নানা খটকা জাগে। কিন্তু কোন বিচারক নিজেই যদি কাউকে দরখাস্তের বিষয়বস্তু ও নিয়মাবলী বুঝিয়ে দেন, তাহলে তার মঞ্জুরীর বিষয়টি একেবারে নিশ্চিত হয়ে যায়। এদিক থেকে মহাবিচারক আল্লাহ তা'আলা মানুষের প্রতি কত সদয় যে, তিনি তাঁর সর্বশেষ কিতাবে বিভিন্নভাবে দরখাস্তের শব্দাবলী ও বাচনভঙ্গি পর্যন্ত বিবৃত করেছেন। দ্বীন ইসলামের ভাষায় এসব দরখাস্তকেই বলা হয় দোয়া। দোয়ার শরয়ী অর্থ ও আরবীতে দোয়ার কয়েকটি অর্থ হয়, দোয়ার এক অর্থ ইবাদাত, যেমন পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে ك . ولا تدع مژ دون اللي مالا بثتك ولا ب