ফ্ল্যাপে লিখা কথা ‘নীল টিপ’ উপন্যাসটির পাণ্ডুলিপি কিছুটা মাত্র পড়েই বুঝতে পেরেছি যে এই উপন্যাস কবির লেখা। এই উপন্যাসটির চরিত্র, গল্প ,বর্ণনা সম্পর্কে বিশদ ধারণা না থাকলেও ,সে যখন দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে তৃষ্ণার্ত চোখে আকুতিরকথা লেখে ,অনুভব করে ভিজে শরীরের ঘ্রাণ তখন বোঝাই যায় তার দ্যাখ্যার চোখ আলাদা। এ গদ্য পড়তে শুরু করলে শেষ না করা কঠিন। পারভিন যেমন রোমান্টিক তেমনি আধুনিক । এই কাব্যময় গদ্য জীবন ও প্রকৃতি হাত ধরাধরি করে মিশে আছে । এ যেন ফুল ফোটার সৌন্দর্য, বৃষ্টি নামার সুখ,মাটির প্রদীপের আলো। একইসঙ্গে সাহস ও সংযম তার লেখার বৈশিষ্ট্য। “নীল টিপ” উপন্যাস একটি মানবিক আখ্যান, প্রেমের কাহিনী, যেখানে ফুটে উঠেছে তার হৃদয়ানুভূতি ও অন্তর্বেদনা। কাহিনীটি জীবনের অনেক অজানা রহস্যের দিকে আমাদের টেনে নিয়ে যায়, জীবনের অনেক জটিল অধ্যায় এক একে উন্মোচিত করে।
ভূমিকা পারভিন আক্তার কবি। আমি তার কবিতা পড়েছি। কবিতায় সে যেমন সাবলীল তেমনি গভীর। তার প্রেমের পঙক্তিগুলো অসাধারণ আবেগময় । আমি কবিতার মধ্যে যে সমর্পণ ,যে বিশুদ্ধতা অনুভব করেছি তা অভিনব। আমি পারভিন যদি কবি হওয়ার জন্য কঠিন দুঃখ বরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করে আবিষ্কারকরতে চায় জীবনকে তাহলে তার কবিতা হৃদয়কে স্পর্শ করবে ও নতুন মাত্র পাবে বলে আমার ধারনা । আমি তার কবিতা পড়েই গদ্য বুঝতে চাই। ‘নীল টিপ’ উপন্যাসটির পাণ্ডলিপি কিছুটা মাত্র পড়েই বুঝতে পেরেছি যে এই উপন্যাস কবির লেখা । এই উপন্যাস কবির লেখা। এই উপন্যাসটির চরিত্র, গল্প ,বর্ণনা সম্পর্কে বিশদ ধারণা না থাকলেও ,সে যখন দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে তৃষ্ণার্ত চোখে আকুতিরকথা লেখে ,অনুভব করে ভিজে শরীরের ঘ্রাণ তখন বোঝাই যায় তার দ্যাখ্যার চোখ আলাদা। এ গদ্য পড়তে শুরু করলে শেষ না করা কঠিন। পারভিন যেমন রোমান্টিক তেমনি আধুনিক । এই কাব্যময় গদ্য জীবন ও প্রকৃতি হাত ধরাধরি করে মিশে আছে । এ যেন ফুল ফোটার সৌন্দর্য, বৃষ্টি নামার সুখ,মাটির প্রদীপের আলো। একইসঙ্গে সাহস ও সংযম তার লেখার বৈশিষ্ট্য। “নীল টিপ” উপন্যাস একটি মানবিক আখ্যান, প্রেমের কাহিনী, যেখানে ফুটে উঠেছে তার হৃদয়ানুভূতি ও অন্তর্বেদনা। কাহিনীটি জীবনের অনেক অজানা রহস্যের দিকে আমাদের টেনে নিয়ে যায়, জীবনের অনেক জটিল অধ্যায় এক একে উন্মোচিত করে।
শিল্পের পথ দূরূহ। অনেক পথ সেখানে অতিক্রম করতে হয়। আমার মনে হয় এই নবী কবি সে কথাটা জেনেই এই দূর্গম পথে পা রেখেছে।সব কবিকেই যেমন এই পথের বাধা অতিক্রম করে সিদ্ধি অর্জনের জন্য নিরন্তর দু:খের সাধনা করতে হয়, পারভীনকেও সেই সাধনায় আত্ননিয়োগ করেত হবে। এই সম্ভাবনা ও নিজের সৃজনশীল উন্মেষকে আরও প্রসারিত করার জন্য তার অব্যাহত প্রয়াস তাকে সাফল্য এনে দিক সেই কামরা করি। এই নবীন কবিকে স্বাগত জানাই। তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মহাদেব সাহা ঢাকা ১১ ডিসেম্বর ২০১১