স্ক্যান্ডিনেভীয় শব্দটির যথার্থ অর্থ নিয়ে টানাপড়েন আছে, কিন্তু সে দিকে না গিয়ে মোটা দাগে বলা যায়, সাধারণত ডেনিশ, নরওয়েজীয়, সুইডিশ, ফিনো-সুইডিশ, ও আইসল্যান্ডিক সাহিত্যই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সাহিত্য। প্রতিবেশ ও ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই স্ক্যান্ডিনেভীয় সাহিত্যে কিছুটা gloom, tragedy, stoicism, seriousness ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। শীতকাল ও তুষারপাত সেখানে মৃত্যুর প্রতীক আর গ্রীষ্মকাল ও তার স্পন্দিত রোদ হলো জীবনের প্রতীক। এই স্ক্যান্ডিনেভীয় গোত্রের অন্যতম প্রধান ভাষা হলো সুইডিশ যা উত্তর জার্মানীয় ভাষা-পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সুইডিশরা তাদের ভাষাকে শব্দভাণ্ডার ও শব্দগঠনের দিক থেকে দুর্বল ভেবে থাকে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলির মধ্যে নোবেল প্রাপ্তিতে সুইডেনের ভাগ্য সবচেয়ে ভালো বলা যায়। ১৯০৯ সালে সেলমা ল্যাগারল্যোফ, ১৯১৬-এ ভেরমার ভন হাইডেনস্টাম, ১৯৩১-এ এরিখ অ্যাক্সেল কার্লফেল্ট, ১৯৫১-এ পার ল্যাগারকভিস্ট, ১৯৬৬-এ নেলি সাম্স, ১৯৭৪-এ আইভিল্ট জনসন ও হারি মারটিনসন, এবং ২০১১ সালে টোমাস ট্রান্সট্রোমার নোবেল পুরস্কার পান সুইডিশ ভাষায় লিখে। তবে ১৯৭৪ সালের পর সুইডিশদের দীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হয়েছে সাহিত্যে নোবেলের জন্য।
কুমার চক্রবর্তী : কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। জন্ম ২ চৈত্র ১৩৭১ বঙ্গাব্দ, কুমিল্লা, বাংলাদেশ। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো- কবিতা : লগপুস্তকের পাতা (১৯৯৮), আয়না ও প্রতিবিম্ব ( ২০০৩), সমুদ্র, বিষণ্নতা ও অলীক বাতিঘর (২০০৭), পাখিদের নির্মিত সাঁকো (২০১০), হারানো ফোনোগ্রাফের গান (২০১২), তবে এসো, হে হাওয়া হে হর্ষনাদ (২০১৪)।