প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
জাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দী
রত্নগর্ভা মহামুনি গ্রাম, যে কজন গুণী সন্তান জন্ম দিয়ে তার মাতৃ ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে তার মধ্যে শিক্ষক, জাদুশিল্পী, লেখক সুদত্ত মুৎসুদ্দী অন্যতম। তিনি ১৯৫৩ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর রাউজান উপজেলার মহামুনি পাহাড়তলী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত বৌদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মনীন্দ্র লাল মুৎসুদ্দী ও মাতা লাবণ্য প্রভা মুৎসুদ্দীর চার সন্তানের মধ্যে লেখক তৃতীয়। শৈশবে অভিভাবকহীন সুদত্ত মুৎসুদ্দী স্বীয় প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেন । শিক্ষা ও কর্মজীবনঃ কঠোর পরিশ্রমী আর অধ্যাবসায়ী সুদত্ত মুৎসুদ্দী ১৯৭১ সালে মহামুনি। এংলাে-পালি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংকে লেটার সহ প্রথম বিভাগে এস.এস.সি.পাস করেন। ১৯৭৩ সালে এইচ.এস.সি. পাস করার পর তিনি শিক্ষকতায় যােগদান করেন। শিক্ষক জীবনেই তিনি বি.এ. এবং ১৯৯১ সালে বি.এড়, ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার অন্তর্গত পশ্চিম বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে নিয়ােজিত আছেন। জাদু জগতে প্রবেশ এবং সফলতা অর্জনঃ বাংলাদেশের বৌদ্ধদের মধ্যে প্রথম জাদুশিল্পী। সুদত্ত মুৎসুদ্দী ছােট বেলা থেকে তান্ত্রিক বৈদ্য, বেদে, ওঝাদের তান্ত্রিকতার রহস্য খুঁজতে গিয়ে সংগ্রহ করেন জাদু জগতের নানা বই । ১৯৭০ সালে স্বীয় প্রচেষ্টায় রপ্ত করা কৌশল থেকে আত্মপ্রকাশ ঘটে জাদুকর হিসাবে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন “চট্টল ম্যাজিক সার্কেল”। ১৯৭৫ সালে পরিচয় ঘটে জাদুজগতের আরেক কিংবদন্তী পুরুষ জাদুকর আলাদেনের সাথে । এই পরিচয় শিল্পীকে সাহায্য করে সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে। নিজের তৈরী করা সরঞ্জাম নিয়ে তিনি ১৯৮০ সালে চট্টগ্রামের মুসলিম হলে ম্যাজিক প্রদর্শন করেন। উক্ত সালে। তিনি জাদুতে অতুলনীয় কৃতিত্ব অর্জনের জন্য ন্যাশনাল ম্যাজিক এক্সপানশন সার্কেল কর্তৃক অভিনন্দিত হন। এরপর তিনি ধাপে ধাপে এগিয়ে যান এবং নিজের ঝুড়িতে জমা করেন। অসংখ্য পুরস্কার, সনদপত্র ও ক্রেস্ট। এ জাদুশিল্পী সুদত্ত মুৎসুদ্দী এ পর্যন্ত ১১২জনকে ম্যাজিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এ যাবৎ প্রায় ১৬৩টি স্থানে মঞ্চ ম্যাজিক প্রদর্শন করেন। সামাজিক কর্মকান্ড ও লেখক হিসাবে আত্মপ্রকাশঃ শৈশব থেকে সুদীর্ঘ কর্ম জীবনে তিনি বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও ম্যাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ছাত্র জীবন থেকে লেখালেখির অভ্যাস থাকলেও প্রথম বই “ফুলতঞ্জা গােষ্ঠীর ইতিবৃত্তি ” প্রকাশ পায় ২০০০ সালে । এরপর প্রকাশ পায় “কালাে অধ্যায়” ও “মিথ্যাদৃষ্টি” নামক দুটি গ্রন্থ। বিবাহিক অবস্থা ও স্ত্রী ইলা মুৎসুদ্দী। দুই ছেলে রেনেসাঁ ও কুয়াশা মুৎসুদ্দী। তারাও বাবার মত একজন জাদুশিল্পী হওয়ার সাধনা করে যাচ্ছে।।