প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
মোঃ মজিবুর রহমান
মুজিবুর রহমান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তিনি স্বভাবে সরল, কথাবার্তায় স্পষ্টবাদী এবং সিন্ধান্তে অনমনীয়। অন্তর্গঢ় চারিত্রিক বিশেষত্বে সমৃদ্ধ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্বই তার অনন্য বৈশিষ্ট্য। তিনি দেশপ্রেমীক বীর মুক্তিযােদ্ধা। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর মমত্ববােধ, শ্রদ্ধা এবং অকৃত্রিম ভালােবাসা তার কাব্য, উপন্যাস, গীতি কবিতায় পরিস্ফুট হয়েছে। একজন বীরাঙ্গনার জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে আত্মাহুতির কাহিনি অবলম্বনে তিনি রচনা করেছেন হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস ‘একটি অলীক সত্য কাহিনি। তিন জন লজ্জিতা নারীর জীবন কাহিনির ওপর ভিত্তি করে রচিত তার অমর সৃষ্টি এক নিঃশ্বাসে পড়ার মতাে উপন্যাস এপিতা ত্রয়ী'। যার পাতায় কান পাতলে আজও একাত্তরের বীরাঙ্গনা সারাবেলার কান্না নীরবে শুনতে পাওয়া যায়। ছুঁতে পারা যায় সুখী-মৌরিনের হৃদয় ক্যানভাসে জমাট বাঁধা বেদনার গাঢ় নীল রঙ। “শিশিরের অন্তরে', 'সন্তপ্ত অন্তর মম', 'আবার আমি যুদ্ধে যাবাে', 'কাহার পীতি' এসব কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি হৃদস্পর্শে স্পন্দিত হৃদয়সরােবরে প্রস্ফুটিত নানান রঙের ফুল দিয়ে গাঁথা কথামালা। কবি-গীতিকার-লেখক মুজিবুর রহমানের প্রকৃত পরিচয় তার এসব সাহিত্যকর্মের মাঝেই নিহিত। লেখক পরিচিতি মোঃ মজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালের ২রা মে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর (সাবেক চরমান্দালীয়া) ইউনিয়নের অন্তর্গত বীরগাঁও গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা: আবদুল হেলিম মুন্সী এবং মাতা: ফাতেমা খাতুন। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি খুব মেধাবী ছিলেন। তিনি ১৯৮১ সালে চরমান্দালীয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মনোহরদী, নরসিংদী থেকে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন এবং ১৯৮৪ সালে খিদিরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, মনোহরদী, নরসিংদী থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। অতপর সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ থেকে এইচএসসি এবং মনোহরদী ডিগ্রি কলেজ, মনোহরদী, নরসিংদী থেকে বিএ এবং প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ড. ইমদাদুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, বাঁশবাড়িয়া, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জে প্রভাষক পদে সাড়ে তিন বৎসর (১৯৯৫-১৯৯৮) কর্মরত ছিলেন। মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে চাকুরি ছেড়ে তিনি চলে আসেন নারায়ণগঞ্জে। সেখানে পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে এক বৎসর দায়িত্ব পালন করে তিনি ১৯৯৯ সালের ২২শে আগস্ট মনোহরদী সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মনোহরদী, নরসিংদীতে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে যোগদান করেন এবং অদ্যাবধি তিনি উক্তপদে কর্মরত আছেন। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড-ঢাকা এর জেএসসি এবং এসএসসি’র বোর্ড পরীক্ষক (বাংলা) এবং নরসিংদী জেলার টিসিজি’র একজন মাস্টার ট্রেইনার। এছাড়াও তিনি পেশাগত দক্ষতাবৃদ্ধি সহায়ক বি-এড এবং এম-এড ট্রেনিং গ্রহণ করেছেন।