প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
ড. আবদুল হাই ঢালী
ডক্টর এম. মতিউর রহমান ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ অক্টোবর শ্রীভূমি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানা সদরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে দর্শন বিষয়ে স্নাতক সম্মান (প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান) এবং ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর (প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতাস্থ সংস্কৃত প্রজ্ঞামহাবিহার থেকে ভারতীয় দর্শন ও বেদবিদ্যা পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান (ডিস্টিংশন-সহ) অধিকার করে দর্শনশাস্ত্রী উপাধি লাভ করেন। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক প্রবক্তা, সমকালীন ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় পণ্ডিত মহামহােপাধ্যায় আচার্য ডক্টর শ্রীধ্যানেশনারায়ণ চক্রবর্তী এম.এ, পি.এইচডি, শাস্ত্রী, বাচস্পতি প্রজ্ঞাভারতী, ভক্তিরত্ন, বাণীকণ্ঠ এবং ডক্টর সুনীলকুমার দাস এম.এ, এল.এল.বি, পি.এইচডি, ডি-লিট, তর্কতীর্থ মহােদয়দ্বয়ের যৌথ তত্ত্বাবধানে কলকাতাস্থ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমকালীন। ভারতীয় দর্শন তথা বাঙালির দর্শনচিন্তার উপর গবেষণা করে পি.এইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ডক্টর রহমান ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বের সারস্বত সাধনার অন্যতম পীঠস্থান গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনস্থ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পােষ্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৭ জুলাই ডক্টর রহমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যােগদান করেন। তারপর তিনি ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যােগদানের মাধ্যমে নতুনভাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে প্রতীচ্য ন্যায়শাস্ত্র ও ভারতীয় দর্শনের অতিথি-বক্তা হিসেবেও কাজ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক এবং সংস্কৃত বিভাগে অথিতি-বক্তা হিসেবে কর্মরত। এছাড়া তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থানুকূল্যে পরিচালিত সাময়িকপত্রে বাঙালির দর্শনচিন্তা শীর্ষক প্রকল্পে গবেষণারত। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ দর্শন সমিতি, বাংলা একাডেমী, এশিয়াটিক সােসাইটি অব বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতি এবং কলকাতাস্থ ভারতীয় দর্শনপীঠ, বঙ্গীয় দর্শন পরিষদ ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ- এর জীবন সভ্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।