আবদুস সোবহান সিকদার

১৯৫৬ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণকারী জনাব আবদুস সোবহান সিকদার ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি শিক্ষা জীবনে ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে মেধাবৃত্তিসহ এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি- তে বোর্ডে মেধাস্থান লাভ করেন। জনার সিকদার বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুড়া হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি এবং বরিশাল বি.এম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইংরেজী বিষয়ে বি.এ (অনার্স) ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। চাকুরী জীবনে ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন ও প্রশাসন বিষয়ে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। জনাব সিকদার একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি স্বরাষ্ট্র, নৌ- পরিবহন এবং আইএমইডি'র সচিব ছিলেন। বি.সি.এস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালে চাকুরীতে যোগদান করেন। মাঠ প্রশাসনে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্তজেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক পদে বিভিন্ন জেলা এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। শিশুসুলভ মনের অধিকারী জনাব সিকদার মনে করেন শিশুরা স্বর্গের বাসিন্দা। মানুষ যদি শিশুদের মতো চরিত্রের অধিকারী হতে পারে তাহলে পৃথিবীতেই স্বর্গীয় শাস্তি উপভোগ করা সম্ভব। এ বিশ্বাস থেকেই তিনি শিশুদের অরিত্রর কিছু বিষয় তাঁর লেখার মাধ্যমে সাবলীলভাবে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন। একজন অত্যন্ত ব্যস্ত সরকারী কর্মকর্তা হয়েও সংগীতানুরাগী জনাব সিকদার অবসর সময়ে সংগীত চর্চায় নিয়োজিত থাকেন। তিনি জীবনধর্মী আধ্যাত্বিক সংগীত বিশেষভাবে পছন্দ করেন। সংগীতের প্রতি অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তাঁর রচিত মরমী বাণী সমৃদ্ধ 'পাখী উড়ে যায়' এবং 'যেতে হবে জন্মের বেশে' নামে দুটি গানের সিডি প্রকাশিত হয়েছে। জনাব সিকদার বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার-এর একজন তালিকভুক্ত গীতিকার।