প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
ওয়াহিদ মুরাদ
কবিতা লেখা দিয়েই লেখালেখি শুরু। ‘মুক্তিযুদ্ধ’ যদি কাউকে কবি বানিয়ে থাকে তবে তিনি ওয়াহিদ মুরাদ। কারণ ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্কূল বন্ধের কারণে যে অফুরন্ত সময় বের হয় সেটিই ওয়াহিদ মুরাদের কবি হওয়ার উপলক্ষ। অর্থনৈতিক বিষয় কিংবা সমাজ-রাজনীতি-দেশ-পরিবেশ ইত্যাকার বিষয় নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি সেই ১৯৭৪ সাল থেকে। প্রকৃতপক্ষে গরিব মানুষের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং সহমর্মিতা থেকেই তাঁর লেখায় হাতেখড়ি। জীবন-যন্ত্রণা আর দারিদ্র্য জয় করার অদম্য স্পৃহা, সেই সঙ্গে সততা ও মুক্তবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জীবন ও জগত-সংসারকে দেখা তাঁর নেশা। তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা, গান ও গল্পে দেখা যায় জীবন বড় কষ্টের। সে জীবনের দুঃখকষ্ট দূর করাই তাঁর আকাক্সক্ষা। বর্তমান বইটি সৃষ্টির পেছনে কাজ করেছে হতদরিদ্র, বঞ্চিত মানুষÑ যারা একটু উন্নয়নের ছোঁয়া সহজেই পায় তারই একান্ত আগ্রহ। অসাধারণ সব পরিকল্পনা নিয়ে তিনি দেশের সব পত্রিকায় লেখালেখি করে একটা স্থান ইতিমধ্যেই সুধীজনের হৃদয়ে করে নিয়েছেন। আমরা লক্ষ করেছি, তাঁর ‘ভিখারীমুক্ত পৃথিবী দেখার স্বপ্ন’ আগামী শতাব্দী অথবা সহস্রাব্দেই দেখতে পাবো আমরা। জীবন থেকে থাকে না, থাকে না সময়ও। একজন ‘ব্যক্তি’ উন্নয়নের ছোঁয়া পেলে বোধ করি ‘রাষ্ট্র’ এগিয়ে যায় তারই হাত ধরে ধরে। সে কারণেই ‘ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ব্যাংক ঋণ’। ওয়াহিদ মুরাদের জন্ম ২৫ অক্টোবর ১৯৫৯। গ্রাম : পঞ্চবেকি, ডাকঘর : রাজাবাড়ী, উপজেলা : স্বরূপকাঠি; বর্তমানে যার নাম নেছারাবাদ, জেরা : পিরোজপুর, বাংলাদেশ। বর্তমান ঠিকানা : ফ্ল্যাট নং : বি-১, রাজগীর হাইটস, ৪/১ দিল রোড, নিউ ইস্কাটন, ঢাকা-১০০০। লেখাপড়া : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স মাস্টার্স। সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা নিয়েছেন পিআইবি থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। কৃষি ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে। তাঁর শখ দাবা খেলা। দাবা সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন কতৃক প্রশিক্ষণ নিয়েছে ১৯৮০ সালে। গল্প লেখায় ঢাকা কলেজ ও বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ থেকে পুর®কৃত হয়েছে ইতিপূর্বে। বিতার্কিক হিসেবে ঢাকা কলেজ থেকে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছেন সত্তরের দশকে। ‘রেডিও টকার’ (বেতর-কথক), অনুষ্ঠান উপস্থাপক এবং গান লেখায় তিনি যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন ইতিমধ্যে। তিনি ২০০৯ সালে লেখাপ্রকাশ রকি সাহিত্য সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।