আবদুল মতিন মাস্টার ছাবরী

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, কবি, সমাজবিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আবদুল মতিন মাস্টার ছাবরী ১৯৪৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তিতাস উপজেলার অন্তর্গত কানাইনগর প্রসিদ্ধ "মাস্টার বাড়ী'তে" জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- সামাজিক বুদ্ধিজীবী মরহুম আবদুল লতিফ মুন্সী, মাতা- মরহুমা ফুলচেহারা বিবি। পিতামহ- সূফী সাধক হযরত আজিমউদ্দিন মুর্শী। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে বিএ ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড ডিগ্রী অর্জন করেন। মতিন মাস্টার তিতাস উপজেলার গাজীপুর হাইস্কুলের আলোকিত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ৬২'র শিক্ষা আন্দোলনের ছাত্র নেতা, ৬৪-র গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা হিসাবে বাতাকান্দি-আমিরাবাদ মাঠে অনুষ্ঠিত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে দীর্ঘদিন কারা নির্যাতন ভোগ করেন। মতিন মাস্টার ৬৯'র গণ-অভ্যুত্থানে দাউদকান্দি-হোমনা থানার সফল নেতা। তিনি '৭০'র কৃষক আন্দোলনে বিপ্লবী নেতা ও বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের আলোচিত আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণামূলক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন" মেগোবের আসকুর" প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আঞ্চলিক গেরিলা কমান্ডার ও আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ছিলেন। আবদুল মতিন মাস্টার ভাসানী ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ছয় দলীয় জোটের অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি নবগঠিত মেঘনা ও তিতাস উপজেলার উদ্যোক্তা ও রূপকার। কবি আবদুল মতিন মাস্টার ছাবরী ১৯৯৬ সাল থেকেই দাউদকান্দি, হোমনা, মুরাদনগর, মেঘনা, তিতাস, গজারিয়া ও মতলব (উঃ) উপজেলাকে নিয়ে নতুন জেলা গঠনের দাবী করে আসছেন। এই সংগ্রামী রাজনীতিকের জীবন-দর্শন ও সমাজ সংস্কারমূলক কার্যক্রম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।