আবু ইব্রাহীম মহাঃ নূরুল হুদা

ড. আবু ইব্রাহীম মহাঃ নূরুল হুদা ১৪ (বিশেষ) বিসিএস-এ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১৯৯৩ সালে সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। তিনি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কৃতি সন্তান। তিনি ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি (নৃতাত্ত্বিক পদ্ধতি) অনুসরণ করা তাঁর অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল Class and Caste in a Rural Community of Bangladesh। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় পিএইচডি গবেষক। তিনি বাংলাদেশে একমাত্র নৃতাত্ত্বিক যিনি সস্ত্রীক অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি অবলম্বনে (গবেষিত গ্রামে চৌদ্দ মাস অবস্থান করেন) স্ত্রীর প্রত্যক্ষ গবেষণা সহযোগিতায় মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। তাঁর পিএইচডি গবেষণায় গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রামীণ ট্রাস্টের একটি সেল দারিদ্র বিমোচন গবেষণা কর্মসূচি থেকে মাত্রিক সম্মানীর ভিত্তিতে ফেলোশিপ লাভ করেন এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ থেকে বরণা অনুদান লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র হিসেবে তিনি থিসিস গ্রুপে ছিলেন এবং Migration in Bangladesh from 1947-1950 শিরোনামে অভিসন্দর্ভ রচনা করেন। তিনি কোলকাতাতে প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী রামকৃষ্ণ মুখার্জীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ভারতের কোলকাতা এবং দিল্লিতে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত উল্লিখিত সময়কালে স্থানান্তর গমনকারীদের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। কোলকাতা ও দিল্লি সফরকালে তিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব সোশ্যাল সাইন্স রিসার্চ। (আই.সি.এস.এস.আর)-এর আর্থিক সহায়তা লাভ করেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে সমাজবিজ্ঞানের অনেক বুৎপত্তিসম্পন্ন শিক্ষকগণের গবেষণা সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক অভিজিৎ দাসগুপ্তের গবেষণা সহযোগী হিসেবে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের রংপুর জেলায় একটি গ্রামে আমেরিকা ও বাংলাদেশের যৌথ গবেষণায় নারীর ক্ষমতায়নের উপরে পর্যবেক্ষণ গবেষণা পদ্ধতি অবলম্বনে দুই বৎসরাধিক কাল অবস্থান করেন। ব্যক্তিগতভাবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের গবেষণা ফেলো হিসেবে একাধিক গবেষণা করেছেন। বাংলাদেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর উপরে তাঁর কিছু গবেষণাকর্ম রয়েছে। বর্তমানে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আর্থিক অনুদানে বাংলাদেশের গারো এথনিক সম্প্রদায়ের উপরে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ ও বিশ্বায়নের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের উপরে একাধিক গ্রন্থের প্রণেতা।