সীতাব আলী

জন্ম সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলত পুর গ্রামে। পড়াশোনা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লালাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও সিলেটের এম সি কলেজে। সাফল্য অর্জন করেন বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফার্মাসী কাউন্সিল পরিচালিত Anatomy and Physiology প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষায়। অর্জন করেন Writing Shool of London থেকে বিশেষ ডিপ্লোমা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে সহকর্মীদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে, ৪ নম্বর সেক্টরে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৯৭৯ সালে বিদেশ যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড’ এর ‘সাংস্কৃতিক কমান্ডার’ রূপে। ১৯৭৮ সালে সম্পাদনা করেন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণমুলক অমর গ্রন্থ ‘ইতিহীন ইতিবৃত্ত’। স্বাধীনতার পর থেকে তিনি বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্রের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী ও আলোচক। ১৯৭৯ সাল থেকে একটানা একযুগ তিনি বসবাস করেন প্রবাসে। ভ্রমণ করেন ভারত, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, জর্দান, সৌদি আরব, বৃটেন ও জার্মানী। সাংবাদিকতা করেন প্রবাসকালিন সময়ে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তিনি একজন বলিষ্ট কলাম লেখক। প্রবাসীদের নিয়ে লেখা তার গ্রন্থ ‘প্রবাসে স্বদেশ’ এবং ভ্রমণ কাহিনিমূলক গ্রন্থ ‘লন্ডন : অনন্য মানুষের সাথে’ দেশে বিদেশে বিপুল সাড়া জাগায়। ‘কোয়ান্টাম সাফল্যের অনন্য ভুবনে’ গ্রন্থখানির সংস্করণ দ্রুত শেষ হয়ে যায় একের পর এক, জাগ্রত করে মানুষের আত্মশক্তি। ১৯৯৪ সালে তিনি কোয়ান্টাম মেথড গ্রাজুয়েট কোর্স করেন, তারপর প্রথম ব্যাচে মাস্টার কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৭ সালে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সিলেট সেন্টারের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি এর পরিচালক।