প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
followers
হযরত মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ.
লেখক পরিচিতি মুজাহিদে আযম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.) ১৮৯৫ মােতাবেক ১৩০২ বাংলা ২রা ফাল্গুন, শুক্রবার, গােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানার পাটগাতী ইউনিয়নের গওহরডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বরেণ্য আলেমে দ্বীন, জ্ঞানতাপস মাওলানা ফরিদপুরীর শৈশব, কৈশাের, ছাত্র ও কর্মজীবনের কথা সকলেরই জানা। সাধারণতঃ বৈষয়িক বিদ্যা এবং ধর্মীয় জ্ঞান এতদুভয়ের বুৎপত্তি অর্জনকারী মহাপুরুষের সন্ধান পাওয়া খুবই দুষ্কর। এমন বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন মুজাহিদে আযম হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)। তার মাঝে জাগতিক ও ধর্ম বিষয়ক উভয় প্রকারের জ্ঞানের সমাবেশ ঘটেছিল পূর্ণমাত্রায়। অসাধারণ জ্ঞানবিজ্ঞানের ধারক-বাহক হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন চূড়ান্ত পর্যায়ের পরহেজগার। অহংকারবােধ বা আত্মগৌরব প্রদর্শনের অসার মরিচিকা তার সােনালী জীবনকে আদৌ স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি যেরূপ আল্লাহর প্রতি সত্যিকার বিশ্বাসী ছিলেন, তেমনি ছিলেন তিনি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অত্যন্ত আনুগত্যশীল। প্রকাশ্যে-গােপনে, সরবে-নীরবে, আনন্দে-বেদনায়, সুখে-দুঃখে, সুস্থতায়-সবলতায় এবং ভ্রমণে-বাসস্থানে সদাসর্বদা তিনি নিজেকে যাবতীয় পাপ-পংকিলতা থেকে দূরে রাখতেন। তার এ পবিত্র জীবনের তাকওয়া ও খােদাভীতি প্রজন্মের জন্য যুগ যুগ ধরে আদর্শ হয়ে থাকবে। সদর সাহেব হুযুর’ নামে সর্বাধিক খ্যাত আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.) ছিলেন পাক-ভারত উপমহাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমে। দ্বীন, তিনি ছিলেন দিশেহারা মুসলিম জাতির কর্ণধার, আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক, অভিজ্ঞ রাজনীতিক, অত্যন্ত উঁচু মাপের লেখক, গবেষক এবং প্রখ্যাত কুরআন। ব্যাখ্যাকার ও স্বনামধন্য হাদীস বিশারদ। দ্বীনের খেদমতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত। উদার, নিষ্ঠাবান ও আত্মত্যাগী। এছাড়া জনগণকে খাটি মানুষরূপে গড়ে তােলার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক চিন্তা-গবেষণা ও প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণসহ উম্মতের কল্যাণ কামনায় তার আজন্ম ব্যাকুলতার কথা সর্বজন স্বীকৃত। আর তাইতাে সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে তিনি যুগশ্রেষ্ঠ সমাজ সংস্কারক’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। মুসলিম জাতির এ ক্রান্তিকালে আমরা ধারাবাহিকভাবে তাঁর লেখা অমূল্য গ্রন্থাবলী প্রকাশের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই জ্ঞান সাধকের গবেষণালব্ধ বইগুলাে পড়ে দিশেহারা মানুষ যদি সঠিক পথের দিশা পায় এবং পার্থিব জীবনে মােহ পরিত্যাগ করতঃ পরকালীন জীবনের পাথেয় সংগ্রহে আত্মনিয়ােগ করে, তবেই আমাদের এই শ্রম ও প্রচেষ্টা স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করব।