প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
মোস্তফা হারুন কুদ্দুস সংক্ষেপে হালী মোস্তফা ছিলেন মোহহীন, প্রাণবন্ত, বাস্তববাদী অথচ রোমান্টিক এক সৃজনশীল মানুষ। প্রাণবন্ত : কারণ তিনি ছিলেন আড্ডাপ্রিয় এবং বন্ধু-বৎসল। তার কর্মস্থলের (১৩৭ জাহানারা গার্ডেন, গ্রীন রোড, ঢাকা) কক্ষে সন্ধ্যার পর প্রায়ই আড্ডা বসতো। সেসব আড্ডায় আমি, স্থপতি রবিউল হুসাইন, স্থপতি মোঃ আবদুর রশীদ ও স্থপতি বদরুল হায়দার উপস্থিত থেকেছি। এ ছাড়া ও আড্ডায় থাকতেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, নাট্যশিল্পী পিযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি শিহাব সরকার, সম্পাদক-সাহিত্যিক আবুল হাসনাত, প্রমুখ। আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে থাকতো হালী মোস্তফার সামাজিক ও রাজনৈতিক বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা। সৃষ্টিশীল : কারণ হালী মোস্তফা ছিলেন একাধারে স্থপতি, কবি, গল্পকার, বিদেশী সাহিত্যের অনুবাদক, ভ্রমণ কাহিনী লেখক ও প্রবন্ধাকার। জীবনকে হালী মোস্তফা ভালোবেসেছিলেন। তবে জীবনকে টেনে-হেঁচড়ে বুড়ো বয়স পর্যন্ত নিয়ে যেতে তাঁর অনীহা ছিল। জীবন তাঁর কাছে অর্থহীন মনে হয়েছে। তাঁর কবিতায় মৃত্যু বারবার অনুরণিত হয়েছে। হালী মোস্তফা তাঁর স্ত্রী হাসিনা বানুকে প্রায়ই বলতেন যে, তিনি ২০০০ সালের পরে আর বাঁচতে চাননা। তিনি তাঁর কথা রেখেছিলেন। ২০০০ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি বিদেশের এক হাসপাতালে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান। তাঁর লিভার শিরোসিস জনিত সমস্যা ছিল। হালী মোস্তফা আমার চেয়ে বছর খানেক ছোট ছিলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী লাভ করি ১৯৬৮ সালে আর হালী ১৯৭০-এ। হালী আমাদের খুব কাছের লোক ছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যু আমার হৃদয়ে যে ক্ষত সৃষ্টি করেছিল তা সারাবার নয়। হালী মোস্তফা ছিলেন নিভৃতচারী ও প্রচার বিমুখ। তিনি লিখেছেন প্রচুর কবিতা, গল্প ও স্থাপত্য বিষয়ক প্রবন্ধ কিন্তু তার খুব কমই পত্র-পত্রিকায় ছাপিয়েছেন। তাঁর লেখা পা-ুলিপির বেশীর ভাগই অপ্রকাশিত অবস্থায় বাক্সবন্দী ছিল। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকেই পত্র-পত্রিকায় প্রবন্ধ ও কলাম লিখতেন। তাঁর পিতা মোঃ আবদুল কুদ্দুস ছিলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক। একুশে পদকপ্রাপ্ত পিতার পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণাতেই সাহিত্যচর্চায় তাঁর আসক্তি জন্মে। হালীর মৃত্যুর বহু বছর পর তাঁর অপ্রকাশিত লেখার ভান্ডার থেকে তাঁর স্ত্রী হাসিনা বানু ও পুত্র তা’সিন মুহ্তাদি দিব্যর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নিম্নে উল্লেখিত চারটি বই প্রকাশিত হয় : ১। বাংলাদেশের স্থাপত্য জগৎ (ফেব্রুয়ারি ২০১৮) ২। হালী মোস্তফার কবিতা সমগ্র (ফেব্রুয়ারি ২০১৯) ৩। হালী মোস্তফার গল্প সমগ্র (ফেব্রুয়ারি ২০২০) ৪। ভূস্বর্গের স্বর্ণসাহিত্য ( মার্চ ২০২১) প্রথম বইটির সম্পাদনায় ছিলেন মামুন সিদ্দিকী এবং শেষ তিনটি বই সম্পাদনা করেন হালী মোস্তফার ভাগ্নে বিশিষ্ট সাহিত্যিক মোঃ সাজ্জাদ ইমরানুল ইসলাম প্রধান।
(Showing 1 to 1 of 1 items)
demo content