প্রিয় গ্রাহক, রকমারি আপনার পছন্দের ক্যাটাগরির নতুন যে কোন পণ্য এবং এক্সক্লুসিভ সব অফার সম্পর্কে সবার আগে জানাতে চায়।
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
follower
জয়ন্তী রায়
জয়ন্তী রায় জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলার রায়পুরায়। তাঁর বাবা ডা. বিনোদ বিহারী পাল এবং মা সরোজ নলিনী পাল। মেঘনা পারে জন্ম হলেও জয়ন্তীর বেড়ে ওঠা ব্রহ্মপুত্রপারে, ময়মনসিংহ শহরে। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা- সবই ময়মনসিংহে। কলেজে পড়ার সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য হয়ে প্রগতিশীল আন্দোলনে হাতেখড়ি। ছাত্র আন্দোলনের কর্মী হিসেবে পরিচয় হয় বিশিষ্ট বাম রাজনৈতিক নেতা ও অর্থনীতিবিদ অজয় রায়ের সঙ্গে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় নাটকীয়ভাবে অজয় রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। নতুন জীবন শুরু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথমে ময়মনসিংহ শহরে ফিরে আসার পর স্বামী অজয় রায় সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মী হওয়ায় জীবিকার জন্য জীবন বীমা করপোরেশনে চাকরি নেন জয়ন্তী রায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কাজের সঙ্গেও জড়িত হন তিনি । ১৯৭৩ সাল থেকে ঢাকায় বসবাস শুরু । স্বামী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হওয়ায় দেশের সব রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সঙ্গে জীবনযাপনও হয়ে ওঠে ঝুঁকিপূর্ণ। দুই কন্যা ও এক পুত্রকে শিক্ষিত করে তোলার কঠিন কাজটিও জয়ন্তী রায় করেছেন অত্যন্ত ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে। এখন অবসর জীবন যাপন করছেন জয়ন্তী রায়। স্বামী অজয় রায়ের জীবনাবসান ঘটেছে কয়েক বছর আগে। তিন পুত্র-কন্যা প্রবাসে। মানুষের সঙ্গে থেকে মানুষের সুদিন-দুর্দিনে সঙ্গী হওয়ার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখেন না। তাই এই পরিণত বয়সেও নানা ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত হয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। জীবনের অম্লমধুর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার থেকে কিছু তুলে ধরতে প্রয়াসী হয়েছেন এই গ্রন্থে।