প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। দেশের সর্বসত্মরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকলেও একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ‘ইসলামি সংহতি’ ও ‘মুসলিম ভ্রাতৃত্ব’ অটুট রাখার অজুহাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে এবং তৎকালীন পাকিসত্মানি স্বৈরশাসক গোষ্ঠী ও হানাদার বাহিনীর সাথে হাত মেলায়। ইসলামের ভুল-ব্যাখ্যা করে তারা সরলপ্রাণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে এবং মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম-বিরোধী কাজ ও মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী জনগণকে ইসলামের শত্রু বলে আখ্যায়িত করে। শুধু প্রচার-প্রচারণা নয়, ইসলামের অপব্যাখ্যা করে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হত্যা-লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী সকল অনৈসলামিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের এই তৎপরতা ছিলো সম্পূর্ণ অন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পরিপন্থি। মুক্তিযুদ্ধ ছিলো হানাদার জালিমের বিরুদ্ধে মজলুম জনগণের ইসলাম সম্মত এক সর্বাত্মক ন্যায়যুদ্ধ। ওই সময় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ইসলাম-বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে দেশ-বিদেশে শামিত্মর ধর্ম ইসলামের ভাব-মর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে স্বাধীন বাংলাদেশে ইসলামের যথার্থ শিক্ষা ও মর্মাবাণী সঠিকভাবে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচার-প্রসারের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এরই ফলশ্রম্নতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামি আদর্শের যথাযথ প্রকাশ তথা ইসলামের উদার মানবতাবাদী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ছিলো জাতির জনকের সুদূরপ্রসারী চিন্তার এক অমিত সম্ভাবনাময় স্বর্ণফসল।
(Showing 181 to 240 of 449 items)
demo content