"স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালোবাসা" এক জীবনে আর কি চাই? যদি তা মিলে যায় একই ছত্রছায়ায়। পরিজন হারিয়ে অজানা গন্তব্যে পা বাড়িয়েছিল শিব শেখর। ঘটনাচক্রে আশ্রয় মেলে এক জমিদার পরিবারে। নতুন জায়গায় নতুন সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। অল্প দিনেই শিব শেখর হয়ে ওঠে পরিবারের অন্যতম সদস্য। লোকচক্ষুর আড়ালে বৃষ্টিস্নাত এক দিনে জমিদার কন্যা কৃষ্ণার সঙ্গে শিব শেখর এসে উপস্থিত হয় পুরনো ঠাকুর দালানে। নিষিদ্ধ সেই ঠাকুর দালান বন্ধ পরে আছে কয়েক যুগ ধরে। সেই ঠাকুর দালানেই ঘটে যায় অলৌকিক কিছু মূহুর্ত। সূচনা হয় জীবন বদলে যাওয়া এক নতুন অধ্যায়ের। রাতেই কাল জ্বরে পরে শিব শেখর। মৃত্যু এসে বাসা বাঁধে তার শরীরে। দীর্ঘ কয়েক মাসের জ্বরে সে প্রায় মৃত্যু শয্যা। কি ঘটেছিল সেই ঠাকুর দালানে? এই কাল জ্বর কোন কিছুর ঈঙ্গিত দিচ্ছে কি? কেন রহস্যময় এ মৃত্যু জ্বর? যে জ্বরের তোড়ে শিব শেখর হারিয়ে ফেলছে বাস্তব জ্ঞান। হারিয়ে যাচ্ছে অন্য কোন জগতে। সন্তানতুল্য শিব শেখরের অসুস্থতায় ভেঙে পরেছে পুরো পরিবার। বাঁচার আশা নেই বললেই চলে। এমত অবস্থায় জমিদার বিপ্রদাসের হাতে এসে পরে এক গুপ্ত ডায়েরি। তারপর, উদ্ভাসিত হয় অন্ধকারময় অতীত আখ্যান। উঠে আসে ঠাকুর দালানের ইতিহাস, বংশের অতীত গাঁথা। জানা যায় বাস্তুতে অধিষ্ঠিত কোন দেবীর কথা। জানা যায় কোন গুপ্ত ঘরের ইতিবৃত্ত। কে সেই দেবী? কেন নিষিদ্ধ এই তন্ত্রের দেবীকে বাস্তুবাড়ির কোন গোপন কক্ষে অধিষ্ঠিত করা হয়েছিল? কোন অভিশাপ লেগে আছে জমিদার বাড়ির উপর? কেন তারা নিষিদ্ধ কিছু নিয়ম মেনে জীবন যাপন করে? রহস্যময় ঘটনা পরিক্রমায় পারিবারিক ইতিহাসের অতল থেকে উঠে আসে প্রশ্নের উত্তরসন্ধান।