মানুষের স্বভাব বদলাবে না! মানুষ প্রশংসা করবে সিংহের কিন্তু গালি দেবে কুকুরের নামেই! যদিও ঢাকা শহরের কুকুরগুলো বাঁচে নিদারুণ অবহেলায়! কবি হয়তো বসে থাকবেন মানুষের পায়ের নিচে, মানুষের ভেতরের কুকুরটা দেখার আশায়। ভূতলেখক বলে একদল লেখক আছেন যারা লেখেন, টাকা পান কিন্তু ছাপা হয় অন্যের নামে... ‘মাসুদ রানা’ নিয়ে শ্রদ্ধেয় কাজী আনোয়ার হোসেন আর আবদুল হাকিম-এর আইনি লড়াই ভুলবে না মানুষ... আপনি শুনতে চান কিংবা নাই চান, সন্ধ্যার পর থেকে ওয়াজ চলবে, রাস্তায় বাড়বে জ্যাম, বাসা বদলের ভোগান্তি পোহাতেই হবে আপনাকে... পোহাতে হবে করোনার হুমকি, চাকরির অনিশ্চয়তা বাড়বে, আয় রোজগার কমে গেলেও বাজারে আলু পটোল চাল তেলের দাম বাড়বে। বাজেটের পর সবকিছুর দাম নাকি বাড়ে, মানুষের দাম বাড়বে কি না কেউ জানে না! বিশ্বের রাজনীতিতে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়বে, আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে আমেরিকান সৈন্য, জুস ফ্যাক্টরি কিংবা লঞ্চে আগুন লাগবে, পুড়ে যাবে কিছু তাজা প্রাণ, তদন্তে বেরিয়ে আসবে ভবন বা লঞ্চের ত্রুটি, তারপর ভুলে যাবে সবাই! ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে খুনোখুনি, উত্তেজনা, একবারে তৃণমূল পর্যায়ে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনের নামে বিভাজন যেন ক্রমশ বাড়ছে! প্রতি বছরের মতো প্রিয় কিছু মানুষ বিদায় নেবে পৃথিবী থেকে... করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্রোত মানুষকে ভোগাবে কিন্তু মানুষ কি মন খারাপ করে থাকবে? করোনা নিয়ে মানুষের জ্ঞান কম না বেশি? বেশি বোঝা নাকি খারাপ। কম বোঝার বিপদও কিন্তু কম নয়। যেমন- করোনা শেষে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক তরুণী। তার বাচ্চা হবে। ডাক্তার জানতে চাইলেন বাচ্চার বাবা কে? তরুণী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল- ‘চিনতে পারিনি! হাতে হাতমোজা আর মুখে মাস্ক পরে আসত তো’! করোনাকেও চেনা যায় না। সে নিঃশব্দ আততায়ী হয়ে আসে। তাই নিরাপদ ও সচেতন থাকুন। করোনা যেন আপনাকে না ছোঁয়! ২০২১ সালের বাংলাদেশ কেমন ছিল? মনে রাখার মতো কিছু ঘটনার রম্য উপাখ্যান- ‘মনে রাজার ভালো সাজার রোগ যে এলো দেশে’! মলাটবন্দি বাংলাদেশ সিরিজের নতুন বই...
জন্ম : ১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৭। জন্মেছেন খুলনার খালিশপুরে । ছােটকাল কেটেছে ক্রিসেন্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বরিশাল ক্যাডেট কলেজে। কলেজ জীবন শেষে যােগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে। নৌবাহিনীর শিক্ষানবীশ অফিসার হিসেবে পড়তে এসেছিলেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯১ সালে চাকরি হারানাের পর থেকে বদলে ফেলেন তার জীবন । এরপর বিচিত্র অভিজ্ঞতা! কখনও টিউশনি, কখনও কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেয়া, কখনও সিকিউরিটি অফিসারের পেশায় পার করেছেন সময়। '৯৫ সালে কিছুদিনের জন্য যায় যায় দিন এর । সহযােগি প্রকাশনা, সাপ্তাহিক মৌচাকে ঢিল-এ কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সালে যায় যায় দিন প্রতিদিন-এ যােগ দিয়ে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করেন। এরপর কাজ করেছেন প্রথম আলাে, মানবজমিন ও মাতৃভূমি পত্রিকায়। বর্তমানে দৈনিক আমার দেশ -পত্রিকায় কর্মরত আছেন। লেখালেখির চেয়েও বর্ণাঢ্য এবং বৈচিত্র্যময় তার ভবঘুরে জীবন। তুমুল আড্ডার মধ্যমণি হিসেবে জুড়ি নেই। তার। এ পর্যন্ত তার কবিতার বই বেরিয়েছে দুটি আর রম্য সংকলনের সংখ্যা চার । নিখোজ নিহত নয়, তালিকাভুক্ত ও স্মৃতির গহনাগুলাের পর ভালােবাসা মরে যায় মুগ্ধতা মরে না তার চতুর্থ উপন্যাস।