"আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা আকাশটা বড় পরিষ্কার। চাঁদের স্পষ্ট আলাে প্রস্ফুটিত হচ্ছে এই ব্যস্ত নগর জুড়ে। শহরের প্রতিটি অলি, গলি, পাড়া, মহল্লা চাঁদের আলােয় আলােকিত হয়ে উঠেছে। ব্যস্ত এই নগরের ব্যস্ত মানুষরা হয়ত চাঁদের এই আলােকময়ী দৃশ্য অবলােকন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। চাঁদের সুস্পষ্ট আলাের মর্ম উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। নানান কাজের ভারে নুয়ে পরেছে তারা। সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার পর প্রকৃতির এসব সশ্যের মর্মগাঁথা তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। ফলশ্রুতিতে, এই জ্যোৎস্নাময় রাত্রি এবং চাঁদের আলাের মাধুর্যতা তাদের আর বােধগম্য হয়ে উঠে না। কিন্তু ঠিক এই শহরেরই অপর প্রান্তে আর্সেলের মতােই কিছু প্রকৃতিপ্রেমী এবং সাহিত্যপ্রেমী মনুষ্যদের কাছে বিষয়গুলাের প্রভাব ঠিকই প্রস্ফুটিত হচ্ছে। তারা অনুভব করছে প্রকৃতির সৌন্দর্যতা। প্রকৃতি এমন এক মায়াস্পর্শী বিষয় যা মনকে হিমশীতল বাতাসের ন্যায় নাড়িয়ে দিয়ে যায়। যার সৌন্দর্যতার প্রেমে পরে হাজারাে প্রকৃতিপ্রেমী প্রকৃতির পুজা করার জন্য সবাইকে আহব্বান জানায়। আর্সেল আজীমের এ কদিন আর ছাদে গিয়ে আকাশ দেখা হয় না। না জানি গাছ গুলাের কি অবস্থা। ব্যস্ততার কারণেই ছাদে যাওয়া হয়ে উঠছে না তার। ফলে প্রকৃতির রস আহরণে ব্যর্থ হচ্ছে সে। কিন্তু রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তার মনে এক অজানা ইচ্ছার আবির্ভাব হয়। তার ইচ্ছে করছে এই নির্জন রাতে নদীর পাড়ে একাকী হেঁটে হেঁটে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াবে। তীব্র বাতাসে সিগারেটের ধোঁয়া শূন্যে উড়ে আবার হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে ইচ্ছে করছে তার।