‘অবিনশ্বর স্মৃতি’ গ্রন্থটি কেবল স্মৃতিকথা দিয়েই ঠাঁসা একটি বই তা বলা যাবে না। কারণ, এতে আছে কবিতা, প্রবন্ধ এবং লেখকের কর্ম জীবনের পাওয়া না পাওয়া, পরিবারের প্রতি তাঁর একনিষ্ঠ অবদানের দলিলও। লেখক প্রফেসর ড. শিরিন বেগম আমার আপন বড় বোন বলে বলছি না, এই গ্রন্থটির সামগ্রিক তত্ত্বাবধানে যেহেতু আমিই ছিলাম তাই এর আদ্যোপান্ত আমার পড়া। তাছাড়া লেখকের জীবনের চড়াই-উতরাই বোন হিসেবে আমার সবটাই জানা। তিনি তাঁর জীবনে, কর্মক্ষেত্রে যতটা অবদান রাখতে পেরেছেন তাঁর সামান্যই এখানে তুলে ধরেছেন। হয়ত এই গ্রন্থটি তিনি লিখতেনই না আমি উৎসাহিত না করলে। কারণ, প্রফেসর ড. শিরিন বেগম প্রচারবিমুখ এবং মাটির খুব কাছের একজন মানুষ। অত্যন্ত সাদামাটা তাঁর জীবন যাপন। তিনি পিতামাতার বাধ্য সন্তান। তিনি সন্তান অন্তপ্রাণ একজন মা। তিনি ভাইবোনের ভালোমন্দ নখদর্পণে রাখা একজন বোন। তিনি আত্মীয় পরিজনের সুখ-দুঃখ খুঁজে বেড়ানোর একজন আপনজন। তিনি স্বামীর প্রতি কর্তব্যপরায়ণ একজন স্ত্রী। সমাজের প্রতি দায়ভার গ্রহণ করার জন্য একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং ছাত্রদের ভবিষ্যৎ সুফল বয়ে আনার একজন একনিষ্ঠ শিক্ষক। ‘অবিনশ্বর স্মৃতি’ গ্রন্থটি একাধারে হয়ে উঠেছে একটি প্রবন্ধের বই, কাব্যগ্রন্থ এবং একটি জীবন অ্যালবামও। এটি লেখক প্রফেসর ড. শিরিন বেগমের প্রথম গ্রন্থ। কিন্তু, আমি আশায় থাকব এমন আরো আরো লেখা যেন তিনি আমাদের জন্য লিখে যেতে পারেন। আমি তাঁর সার্বিক সুস্থতা এবং সুদীর্ঘ জীবন কামনা করছি। জাহানারা বুলা