চেহারাটা সদ্য থেতলে দেওয়া, দুইটা যুবক যুবতীর লাশ পড়ে আছে ফ্লোরে। তাজা রক্তে সবুজ কার্পেট ভিজে পুরো লাল হয়ে গেছে। কানের নিচ দিয়ে এখনো গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। ফ্লোরে ভেসে যাওয়া রক্ত জমাট বাঁধতে পারেনি। খুব কম সময়ের ভিতরেই প্রাণটা নিয়েছে তাদের। কারণ একটু আগেও তারা আদিম খেলায় মত্ত ছিলো। কত হাসি, আনন্দই না ছিলো তাদের মধ্যে। কত শত পরিকল্পনা করছিল ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য। কিন্তু নিমিষেই কোথা থেকে কি হয়ে গেল। এজন্যই হয়তো সবাই বলে, "মৃত্যু কাউকে বলে আসে না"। পড়ে রইলো প্রানহীন নিথর দেহ দুইটা। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। পুরো আকাশটাই যেন কালো মেঘে ছেয়ে আছে। বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাতাসের মধ্য দিয়ে, মাথায় হ্যাট ও কালো ওভারকোর্ট পরিহিত এক যুবক তার নিজ গতিতে হেঁটে চলেছে। হ্যাটটা সামান্য একটু উঁচু করে সামনের দেয়ালে থাকা ঘড়িটা একবার দেখে নিলো সে। রাত দুইটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। গভীর রাত। ফাঁকা রাস্তায় কোনো জনমানব নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে দু-একজন করে দেখা যাচ্ছে। যাদের কেউ কোটিপতি বাবার একমাত্র সন্তান। জুয়া মদে টাকা উড়িয়ে বাসায় ফিরছে। আবার কেউ হয়তো ক্ষুধার্ত জানোয়ারদের শয্যার সঙ্গী। আবার কেউ হাজারো কষ্ট নিয়ে ঘর ছেড়ে ঘুরে বেড়ানো পথিক। ......... এই জগৎ বড়ই রহস্যময়। কিন্তু তা কখনোই পূর্ণরূপে প্রকাশ পায় না। হাজারো রহস্য চাপা পড়ে যায় মায়াবী এই জগৎতের অন্তরালে। জগৎতের শত রহস্য উন্মোচনে "রহস্যের অন্তরালে" বইটি সংগ্রহ করতে পারেন। বই: রহস্যের অন্তরালে ধরন: থ্রিলার গল্প সংকলন সম্পাদক: ইয়াসমিন রিমা ও সামিউল ইসলাম প্রকাশনায়: স্বরবর্ণ প্রকাশনী