বিষয়বস্তুঃ ‘‘বিষপুরুষ” - একটি বৃহৎ উপন্যাস। রোমান্টিক গল্পের আদলে লেখা এই উপন্যাসে রয়েছে জাদুবিদ্যা, রহস্য, রোমাঞ্চ এবং অমীমাংসিত খুনের ঘটনা। গল্পের নায়ক অবন মূলত মানসিকভাবে নেক্রফেলিয়া রোগে আক্রান্ত। এর কারণ ছোটবেলায় তার বাবাকে পিটিয়ে মারা হয়। ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আশ্রয় হয় এক লাঠিয়ালের বাড়িতে। যাদের পূর্ব পুরুষ ডাকাত ছিল। এই লাঠিয়াল থাকত ভাঙগা এক রাজবাড়িতে। সেই বাড়িতে এক গোপন কুঠুরিতে অবন খুঁজে পায় অসংখ্য স্বর্ণমূদ্রা। সাথে পেয়ে যায় কালো জাদুর একটা বই। এরই মাঝে একদিন ডাকাতদল আসে। নিষ্ঠুরভাবে তারা হত্যা করে আশ্রয়দাতা লাঠিয়াল জয়নদ্দীকে। আর তুলে নিয়ে যায় জয়নদ্দীর মেয়ে, অবনের বোন আছিয়াকে। কোনোরকমে প্রাণে বাঁচে অবন। ধ্বংস প্রাপ্ত বাড়ির গোপন কুঠুরিতে আশ্রয় নেয় সে। তার মধ্যে তীব্র ঘৃণা আর প্রতিশোধ জেগে ওঠে। অবন কালোজাদুবিদ্যা শুরু করে। নেক্রোম্যান্সির মাধ্যমে ডেকে নেয় তার বাবার আত্মাকে। শিখে নেয় প্রাচীন গ্রিসের ভয়ঙ্কর কালোজাদু বিদ্যা ‘‘ওরাকল’। যেকোনো মানুষকে বশে আনতে ব্যবহার করে ‘মন্ত্রপূত কবচ’ । প্রেমে যৌন আবেগ সৃষ্টি করতে সে ব্যবহার করে ‘এরোস’ এবং বিভ্রম সৃস্টিতে ব্যবহার করে ‘ফিলা’। একসময় নিজেকে অমর করে তুলতে চায় অবন। সে হতে চায় এ পৃথিবীর প্রথম বিষপুরুষ। শুরু হয় মাশরুম থেকে বিশেষ মাদকের ব্যবহার, মৃত নারীর সঙ্গমের জন্য মেরে ফেলে ঝুমুরকে। প্রতিশোধ নিতে হত্যা করে তার বাবার হত্যাকারী গুপ্ত মন্ত্রীকে। কিন্তু এরই মধ্যেই সে ভালোবেসে ফেলে তিষাকে। এখন কোন দিকে যাবে সে? নিজেকে পুর্ণাঙ্গ বিষপুরুষ বানাবে নাকি ফিরে যাবে তিষার কাছে? এমন রহস্যের রোমাঞ্চকর মুহূর্তে নিজেকে বাঁচাতে সে বশ করে প্রতিদ্বন্দ্বী রাফিয়াকে। তবে সত্যিই কি রাফিয়া বশ হয়েছিল অবনের কাছে? নাকি অবনকে ধরতে সক্ষম হবে সে? অবশেষে বিচ্ছু, টিকিটিকি এবং কাকের মাংস খেয়ে প্রায় ‘বিষপুরুষ’ হয়ে ওঠা অবনকে কি খুঁজে পাবে কোনো কবরে? নাকি ফিরে যাবে সেই পুরোনো ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির সুরঙ্গে? বিষপুরুষ উপন্যাস পাঁচটি ভাগে বিভক্ত- ১. ক্লাসে কালোজাদু ২. পিশাচমন্ত্র ৩. খুন ৪. অমীমাংসিত খুন ৫. অমৃতনিশি
Ahmed Faruq নিজেকে সুখী মানুষ ভাবতে ভালোবাসেন। লেখেন ইচ্ছে হলে, ইচ্ছে না হলে কিছুই লেখেন না। স্বপ্ন দেখেন “লাইটহাউজ” নামক এক মিলনকেন্দ্রের। যেখানে কিছু নিঃস্ব মানুষের গল্প লেখা হবে। ছোটবড় মিলে বই লিখেছেন ২৭। ছোটগল্প লিখেছেন সবচেয়ে বেশি। ‘কাক” তার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প এবং নাটক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যকের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে পুরোদমে লেখালেখি আর প্রকাশনার সাথে যুক্ত। বাবা মরহুম সামছুল হক ছিলেন কৃষিবিদ। মা ফাতেমা খাতুন, স্ত্রী জেবা, মেয়ে নাবা এবং পুত্র অবনীলকে নিয়েই তার যাপিত জীবন।