"দি প্রোডিগাল ডটার" বইয়ের ব্যাক কভারে লিখা “চরম উত্তেজনাকর এবং শ্বাসরুদ্ধকর উপন্যাস। পাঠক বইটি শেষ না করে উঠতেই চাইবেন । এক নিঃশ্বাসে পড়ার মত রােমাঞ্চকর কাহিনি” - দি ওয়াশিংটন পােস্ট
তার ছিল উচ্চাকাঙ্খা… উচ্চবিত্ত ও বিশাল সম্পদের মালিক অ্যাবেল রসনােভস্কি পােল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হয়। সেখানেই তার মেয়ে ফ্লোরেন্টিনা রসনােভস্কির জন্ম। ফ্লোরেন্টিনা তার বাবার মতােই যুক্তরাষ্ট্রকে ভালােবেসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অ্যাবেল রসনােভস্কির যে প্রেম, ভালােবাসা, তার আদর্শ, তার স্বপ্ন সব কিছু ছাপিয়ে গেছে, কিন্তু মেয়ে বাবাকে ছাড়িয়ে যেতে চায়- আমেরিকার প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে ফ্লোরেন্টিনা। সম্পদ তার ভবিষ্যৎ... ধনবান পরিবারে জন্মে ছিলেন রিচার্ড কেন। বড়াে হয়ে বাবার মত শিল্পপতি হন তিনি। ব্যাংকিং জগতেও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন রিচার্ড। নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। যে সুন্দরী রমণীকে সে ভালােবাসতেন তার সাথে সম্পর্ক করে অনাবিল আনন্দে জীবন উপভােগ করতে চেয়েছিলেন তিনি। অতীত রহস্য থেকেই গেল... ফ্লোরেন্টিনার মূল লক্ষ্য ছিল, তিনি একদিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হবেন, এই স্বপ্নে বিভাের ছিলেন তিনি। এদিকে রিচার্ড কেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে অতিমাত্রায় ব্যস্ত থাকতেন, কিন্তু তাঁদের প্রেম ভালােবাসা, হৃদয়ের টানে একে অপরের কাছে আসা, সব কিছু নিংড়ে দেয়া, কোন কিছুরই কমতি ছিল না। কিন্তু দুই পরিবারের মধ্যে একটি বিষয়ে প্রবল দ্বন্ধ কাজ করছিলাে, ফ্লোরেন্টিনার পরিবার অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন, আর রিচার্ডের প্রপিতামহ এই যুক্তরাষ্ট্রেরই অধিবাসী, প্রবল ক্ষমতাবান । দুই প্রজন্মের মধ্যে দ্বন্ধ থাকটাই স্বাভাবিক। আর এ দ্বন্ধের কারণেই অনেক কিছুই ধ্বংস হতে বসেছিল, রিচার্ড এবং ফ্লোরেন্টিনা প্রচণ্ড মানসিক ও সামাজিক লড়াই করেই এসব কিছু অর্জন করেন।
‘অত্যাধিক প্রানবন্ত এবং হৃদয়গ্রাহী গল্প, এর থেকে সুন্দর কাহিনি হয় না বললেই চলে। - ল্যারি কিং