প্রবাসের দুঃখগুলো একটু অন্যরকম। একটু চেপে যাওয়া। একটু অকথিত। অলিখিত। একটু অলিপিবদ্ধ। মানুষ নিজের পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দুঃখ কমাতে প্রবাস জীবন বেছে নেয়। কেনো সে জীবন বেছে নেওয়া তা জানা সবার। কিন্তু অজানা থেকে যায় একটা মানুষ প্রবাসের যাওয়ার পর যা ঘটে। পরিবার, সমাজ, চেনামুখ, চেনা পরিবেশ থেকে দূরে গিয়ে একটা মানুষ কতটা বিষাদে থাকে তা কেবল প্রবাসীরাই জানে। এবং এই বিষাদ তার পরিবার পরিজন থেকে লুকিয়ে বেঁচে থাকা আরও কত বিষাদের তাও কেবল প্রবাসীরাই জানে। দীর্ঘ প্রবাসজীবন কাটানো কামরুল হাসান জনি একটা উপন্যাস লিখছেন, ঘরে ফেরার গান। প্রবাস জীবনের এইসব বেদনা এবং একটা বিশাল মহামারি সময় অতিক্রম করতে গিয়ে প্রবাসীরা বিশেষ করে তার চোখে দেখা তপ্ত মরুর বুকের শহরের প্রবাসীরা কীভাবে কাটিয়েছে তাই তার লেখার উপজীব্য। উপন্যাস শেষ হওয়ার পর কয়েকটি পরিচ্ছদ আমাকে পড়তে দেন জনি। পাতার পর পাতা পড়ে পড়ে উল্টিয়ে মনে হয়েছে আমি যেনো দীর্ঘশ্বাস উল্টে যাচ্ছি একের পর এক। জৌলুশের পৃথিবীতে যে বর্নহীণ প্রবাস জীবন তা খুব সুন্দর করে ফুটিয়েছেন জনি। তিনি খুব নিপুনভাবে তুলে ধরেছেন করোনাকালীন সেই জীবন। চোখের সামনে মৃত্যু এবং দেশের দুঃসংবাদের দোলাচলে কীভাবে জীবন কাটিয়েছেন তারা তাও তুলে এনেছেন। উপন্যাসটি পুরোটা পড়িনি, তবে আগ্রহ জন্মেছে বেশ। আশা করি পড়বো। এবং পুরোটাই একটা টানটান জীবনের গল্প হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নাই। এই উপন্যাস এবং কামরুল হাসান জনির জন্য শুভকামনা রইলো...
জন্ম ১০ অক্টোবর, চট্টগ্রামের মিরসরাই, পেশায় সাংবাদিক। জীব ও জীবনের প্রতি প্রেম তার। স্বাধীনচেতা এই লেখক জীবন-মৃত্যু, ভালো লাগা, মন্দ লাগা আর মানুষের ভাবনা পড়েন সর্বদা। তার সাহিত্যের রসদও এরাই। সাংবাদিকতার পাশাপাশি জীবনের প্রতি প্রেম থেকেই তার সাহিত্যে বিচরণ। কবিতা চর্চা দিয়ে শুরু হলেও উপন্যাসে সাহিত্যের সৌন্দর্য খুঁজে পান তিনি। শুরু করেন সেই পথেই যাত্রা। লিখছেন উপন্যাস, ভ্রমণগ্রন্থ।