প্রচণ্ড শব্দে নন্দিতার ঘুম ভেঙে গেল। প্রথমবার বুঝতে কষ্ট হলো, শব্দটা কোথেকে আসছে। দ্বিতীয়বার বাজতেই বোঝা গেল কলিংবেল থেকে আসছে। কলিংবেলটার শব্দটা আজকাল কেমন যেন খুব কর্কশ শোনাচ্ছে। শুনলেই মেজাজটা সহজেই বিগড়ে যায়। এ মাসের বেতন পেলে, মিষ্টি শব্দ হবে এমন একটা কলিংবেল কিনতে হবে। যার শব্দ শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়। এই কাককণ্ঠী কলিংবেলটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বদলাতেই হবে। আবার গ্যাং... গ্যাং... করে কলিংবেল বেজে উঠল। নন্দিতা দুই হাতে কান চেপে ধরে দরজার দিকে দৌড় দিল। দরজা খুলতেই দেখল, একটি কিশোরী দাঁড়ানো, যার হাসির পবিত্রতার দুঃখ, কষ্ট, পাপ এবং বয়সের ভারে জরাজীর্ণ মানুষগুলোও স্বর্গীয় সুখ অনুভব করে। পোশাক-বৈচিত্র্য ও চেহারার গড়ন তাকে সুষমা করে তুলেছে। আর চেহারায় শিশুসুলভ সকল সরলতা বিদ্যমান। দেখলে কান্না এসে যায়। মনে হয় এই মুহূর্তে আমিও নিষ্পাপ। মেয়েটি পবিত্র হেসে কোমল হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল- হ্যালো মিস... আই'ম আনন্দিতা, অর ইউ? নন্দিতা মেয়েটির সাথে হাত মেলাতে যাবার মুহূর্তে বুঝতে পারল, তার দুই হাত এখনো কলিংবেলের শব্দ প্রতিহত করতে নিজ কর্ণ চেপে ধরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। অথচ কলিংবেলের শব্দ শেষ সেই কখন। নিজ বোকামিতে এক গাল হেসে মেয়েটির দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল-