"পজেস্ড" বইয়ের প্রচ্ছদের অংশ:চপলদের বাসার সামনে এসে সিএনজির ভাড়া ঢুকিয়ে সদর দরজাটা খুলতেই কে যেন মাথার মধ্যে বলে উঠলাে, ‘মহাবিপদ সামনে, পালাও, এখনি পালাও' ডা. সেন। তবুও চপলদের বাসায় ঢুকলেন। বুইরা হারামজাদা আসছে, ওরে মাইরা তারপর তােদের মারবাে। কেউ বাঁচতে পারবি না থাসাস স্কোতসাে। ওলিও এনা প্রেস এনা (এক এক করে তােদের সবাইকে মারবাে) । হা হা হা হা... দোতলার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতেই পৈশাচিক কণ্ঠের হাসিটা শুনতে পেলেন ডা. সেন। ভারী পুরুষালি কণ্ঠস্বর। হাসিটার মধ্যে একরকমের তীক্ষণতা আছে, মেরুদণ্ড শীতল করে দেয়। ডা. সেন ঘরে ঢুকে দেখেন চপল মাথায় এক হাত দিয়ে। নিজের মাথা চেপে ধরে অন্য হাতে মুন্নির বুকটা চাপ দিয়ে ধরে রেখেছে, তার মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। উপল আর পারভিন মিলে আতঙ্কিত মুখে বিছানার সাথে মুন্নির হাত আর পা চেপে ধরে আছে, শাহেদা খাতুন কোরান শরীফ মেলে ধরে জোরে জোরে সুরা পড়ছেন। আর মুন্নি অপ্রাকৃতিক হাসি মুখে দরজায় দিকে তাকিয়ে আছে। ডা. সেনকে দেখেই মুন্নি বলে উঠলাে, আয় আয় শুয়ােরের বাচ্চা, থা পেতানেস মি তনত্রপাে পাে স্কোতসেস তি গাইনাকাসাে। (তােকেও সেইভাবে মারবাে যেভাবে তাের বউকে মেরেছিলাম)।। তারপর শ্বাশুড়ির দিকে তাকিয়ে বললাে। চুপ কর হারামী, নাটক করিস? তাের দোয়ায় কিছু হবে না। বলেই আবার পুরুষের কণ্ঠে অট্টহাসি দিলাে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং নিউ হ্যভেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের পর তার ক্যরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৯৬ সালে টয়োটা মটরস (ইউএসএ) তে ম্যনেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদান এর মাধ্যমে। তিনি বর্তমানে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ও সাপ্লাই চেইন বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন । এর আগে তিনি টিম গ্রুপ, ডিবিএল সিরামিকস লিঃ, ব্র্যাক ডেইরী ও ফুড এন্টারপ্রাইজ, রহিমআফরোজ (বাংলাদেশ) লিঃ এবং বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ডাষ্ট্রিজের বিভিন্ন শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। কর্ম জীবনের বাইরেও তিনি শিক্ষকতা করতে ভালবাসেন। তিনি নর্থ সাউথ ও আইএউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। তৌফিকুর রহমান একজন সফল ট্রেইনার। তিনি বিক্রয়, বাজারজাতকরণ, লিডারশীপ, ব্যবসা পরিচালনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ১০০টিরও বেশী প্রফেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছেন। তৌফিকুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কোচিং ফেডারেশন (আইসিএফ) এর সদস্য প্রফেশনাল কোচ। পেশাগত কারণে তিনি এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশ এবং বাংলাদেশের প্রায় সকল উপজেলা ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।