‘‘বিক্রয়কর্মীর দিনরাত"বইটির ভূমিকা: ‘তুমি বেশি বােঝাে?'_ এ কথা শুনে শুনে আমি বড় হয়েছি। আমার শিশুমনের ওপর এ কথাটি খুব চেপে বসেছে। এখনাে মনে হয় আমি কি আসলেই বেশি বুঝি? যতই দিন যাচ্ছে, ততই বুঝতে পারছি আমার জ্ঞানের পরিধি কত কম। সময়ের সঙ্গে নিজের জ্ঞানের স্বল্পতা আরও প্রকট হচ্ছে। এ আমার বিনয় নয়, বাস্তবতা। এই কিছুদিন আগে যা জানতাম বা যা ঠিক মনে করতাম, তা-ই আজ ভুল মনে হচ্ছে। কালের সঙ্গে হয়তাে আজকের ভাবনাকেও একদিন ভুল মনে হতে পারে। হয়তাে এইই মানব চরিত্র, যা সময়ের সঙ্গে শিক্ষা নেয়। ২০২০ সালের করােনা মহামারির কঠিন সময় আসার আগে সেলস। নিয়ে যা ভাবতাম আজ ক্ষেত্রবিশেষে তার প্রায় বিপরীত ভাবছি। সামনের দিনগুলােতে আরও নতুন কী কী দেখব, সে অপেক্ষায় আছি। আমার এমন ভাবনার জগৎ থেকে সেলসের কাজে নিয়ােজিত কর্মীদের জন্য একটি বই লেখা কতটা ঠিক হলাে জানি না। তবে এতটুকুই বলি যে আমি কোনাে তত্ত্ব বলার চেষ্টা করিনি। আমি শুধু তা-ই বলেছি, যা সময়ের সঙ্গে চারপাশ থেকে আমি শিখেছি। শিখতে চাইলে নাকি পিপড়া থেকেও শেখা যায়। সেই সাহসে নিজের অভিজ্ঞতাটুকু লিখেছি। আমি যতটুকু দেখেছি, ততটুকুই লিখেছি। সেলসের কাজে যে খুব শখ করে চলে এসেছিলাম তা নয়। মূলত সহজে চাকরি পাওয়া যায় বলেই এই পেশায় এসেছিলাম। কিন্তু কাজ করতে করতে সেলসে যে বৈচিত্র্য, নান্দনিকতা আর শৈল্পিক উপস্থাপনা দেখেছি, তাতে মুগ্ধ হয়েছি। সবচেয়ে ভালাে লাগে প্রতিনিয়ত নতুন