আনারকলি ছিলেন পৌরাণিক দাসী কন্যা, জন্মসূত্রে তার নাম নাদিরা বেগম অথবা শার্ফ-উন-নিসা। এক বণিক বহরের সঙ্গে ইরান থেকে মুঘল ভারতে অভিবাসিত হয়ে স্থান পান রাজকীয় হেরেমে। তার পরিচিতি সম্পর্কে রয়েছে বহুমত। বলিউডের ইতিহাস সৃষ্টিকারী ব্যবসা সফল ‘মুঘল-ই-আজম’ চলচ্চিত্রে তিনি অমর হয়ে আছেন। শাহজাদা সেলিমের সঙ্গে (পরবর্তীকালে স¤্রাট জাহাঙ্গীর) প্রেম ও প্রণয়ে জড়ালে স¤্রাট আকবরের নির্দেশে আনারকলিকে জীবন্ত কবরস্থ করা হয়। এসব আখ্যান লোকশ্রুতি ও শিল্প-সাহিত্যে স্থান পেলেও মুঘল ইতিহাসের কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। তার সম্পর্কে প্রথম জানা যায় ইংরেজ বণিক ও পর্যটকদের বিবরণীতে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের উর্দুভাষী লখনৌ, আগ্রা, দিল্লি, লাহোরের জনশ্রুতিতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মব্যাপী আনারকলির কাহিনী ঘিরে রচিত হয়েছে বহু নাটক, সিনেমা ও গ্রন্থ। লাহোরে রয়েছে আনারকলির মাকবারা বা সমাধিসৌধ ও প্রাচীন বাজার। শাড়ি, ব্লাউজে আনারকলি ডিজাইন এখনও মশহুর। কিছুটা ঐতিহাসিক, কিছুটা কাল্পনিক এবং ইতিহাস ও মিথের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মুঘল হেরেমের নতর্কী ও বিয়োগান্ত প্রেমের রহস্যময়ী নায়িকা আনারকলিকে অনুসন্ধানে বাংলা ভাষায় এটিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ। পৌরাণিক দাসী কন্যা, জন্মসূত্রে তার নাম নাদিরা বেগম অথবা শার্ফ-উন-নিসা। এক বণিক বহরের সঙ্গে ইরান থেকে মুঘল ভারতে অভিবাসিত হয়ে স্থান পান রাজকীয় হেরেমে। তার পরিচিতি সম্পর্কে রয়েছে বহুমত। বলিউডের ইতিহাস সৃষ্টিকারী ব্যবসা সফল ‘মুঘল-ই-আজম’ চলচ্চিত্রে তিনি অমর হয়ে আছেন। শাহজাদা সেলিমের সঙ্গে (পরবর্তীকালে স¤্রাট জাহাঙ্গীর) প্রেম ও প্রণয়ে জড়ালে স¤্রাট আকবরের নির্দেশে আনারকলিকে জীবন্ত কবরস্থ করা হয়। এসব আখ্যান লোকশ্রুতি ও শিল্প-সাহিত্যে স্থান পেলেও মুঘল ইতিহাসের কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। তার সম্পর্কে প্রথম জানা যায় ইংরেজ বণিক ও পর্যটকদের বিবরণীতে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের উর্দুভাষী লখনৌ, আগ্রা, দিল্লি, লাহোরের জনশ্রুতিতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মব্যাপী আনারকলির কাহিনী ঘিরে রচিত হয়েছে বহু নাটক, সিনেমা ও গ্রন্থ। লাহোরে রয়েছে আনারকলির মাকবারা বা সমাধিসৌধ ও প্রাচীন বাজার। শাড়ি, ব্লাউজে আনারকলি ডিজাইন এখনও মশহুর। কিছুটা ঐতিহাসিক, কিছুটা কাল্পনিক এবং ইতিহাস ও মিথের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মুঘল হেরেমের নতর্কী ও বিয়োগান্ত প্রেমের রহস্যময়ী নায়িকা আনারকলিকে অনুসন্ধানে বাংলা ভাষায় এটিই সম্ভবত প্রথম গ্রন্থ।
ড. মাহফুজ পারভেজ। পিতা: ডা. এ.এ, মাজহারুল হক, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মাতা: নূরজাহান বেগম, সমাজসেবী। জন্ম: ৮ মার্চ ১৯৬৬, কিশোরগঞ্জ শহর। পড়াশোনা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচ,ডি)। পেশা: অধ্যাপনা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। লেখালেখি, গবেষণা ও সাহিত্য সাধনায় ব্রতী। প্রকাশিত গ্রন্থ কুড়িটি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- গবেষণা-প্রবন্ধ: বিদ্রোহী পার্বত্য চট্টগ্রাম ও শান্তিচুক্তি, দারাশিকোহ: মুঘল ইতিহাসের ট্র্যাজিক হিরো। দ্বিশত জন্মবর্ষে বিদ্যাসাগর। উপন্যাস: পার্টিশনস, নীল উড়াল। ভ্রমণ: রক্তাক্ত নৈসর্গিক নেপালে। গল্প: ইতিহাসবিদ, ন্যানো ভালোবাসা ও অন্যান্য গল্প। কবিতা: মানব বংশের অলংকার, আমার সামনে নেই মহুয়ার বন, গন্ধর্বের অভিশাপ।