বাথরুমে বেসিনের ওপর যে আয়না বা গ্লাস থাকে সেদিকে সাধারণত তাকায় না তাহসান। আজ বাথরুমে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে গ্লাসটি ভেঙ্গে পড়ল। তাহসান ভয় পেয়ে সেদিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল। ফুটফুটে একটি ভূতের বাচ্চা বাথরুমের গ্লাসের পেছনে বসা ছিল। গ্লাস ভেঙে যাওয়ায় বাচ্চাটিকে দেখা যাচ্ছে। তাহসান বলল, তুমি কে হে? আমি ভূতের পুত। বাচ্চা ভূতটি জবাব দিল। এভাবে এগিয়ে গেছে ‘ভূতের পুত’ গল্পের কাহিনি।
হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ভড়কে গেল তানজিনা। জানালার পর্দাগুলো সরাতেই বাইরের হালকা আলো এসে প্রবেশ করল বাসায়। কিন্তু এ কী! বইয়ের পাতায় ভূতের বাচ্চার সবুজ ছবিটা হঠাৎ জীবন্ত হয়ে উঠল! ‘ভূতের বাচ্চা চিঁ চিঁ’ গল্প এভাবে এগিয়ে গেছে। শয়তান নামক ভয়ঙ্কর ভূতটি মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। সে সব সময় মানুষের ক্ষতি করতে চায়। শয়তানকে খান্নাস বলার কারণ হলো সে বারবার মানুষকে প্ররোচনা দেয় এবং লুকিয়ে থাকে। শয়তান আমাদেরকে মন্দকাজের প্ররোচনা দেবে, কিন্তু আমর সব কাজের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে শরু করব। যখন আল্লাহর নামে কোনো কাজ শুরু করব তখন শয়তান সেখানে থাকতে পারবে না। আমরা নিয়মিত নামাজ পড়ব। কখনও মিথ্যা কথা বলব না। সবসময় আল্লাহকে স্মরণ রাখব। তাহলেই শয়তানের সঙ্গে লড়াইয়ে আমরা জিতে যাব। ভয়ঙ্কর এক ভূতের এটাই শিক্ষনীয় বার্তা ‘ভয়ঙ্কর এক ভূত’ পাপড়ি ভূতের গল্প সিরিজের একটি বই। ছোটোদের উপযোগী করে লেখা ‘ভূতের পুত’, ‘ভূতের বাচ্চা চিঁ চিঁ’ এবং ‘ভয়ঙ্কর এক ভূত’ এই তিনটি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি।
কামরুল আলম। মূল পরিচয় ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক। লিখছেন বড়দের জন্যেও গল্প-উপন্যাস। জন্ম ২৫ নভেম্বর ১৯৮০, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে। পিতা মরহুম কবি করামত আলী। মাতা হোসনে আরা বেগম। ছোটোবেলায় লেখালেখিতে হাতেখড়ি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৫টি। আলোর অন্বেষণ সাহিত্য পদক, ইলহান্স ইন্টারন্যাশনাল লিজেন্ডারি পদক (লন্ডন), আমাদের ডাক শিশুসাহিত্য পদক, ঝাল শ্রেষ্ঠ ছড়াকার সম্মাননাসহ অনেকগুলো পুরস্কার ও সাহিত্য পদক পেয়েছেন ইতোমধ্যে। পেশায় ব্যবসায়ী। বর্তমানে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাপড়ির কর্ণধার এবং পাপড়ি সাহিত্যপত্রিকার সম্পাদক।