ভূমিকা সালটা ১৯৫২। একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল বাংলা সিনেমা জগতে। ধনী ব্যবসায়ী আদিনাথ সেনের পুত্রবধূ রমা পা রেখেছিলেন অভিনয় জগতে। চলচ্চিত্রে নাম রাখা হয় সুচিত্রা। প্রথম ছবি ‘শেষ কোথায়’ মুক্তি পায়নি। পরের বছরই মুক্তি পায় নির্মল দাসের ‘সাড়ে চুয়াত্তর’। বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নিলেন সুচিত্রা। এই ছবিতে প্রথম জুটি উত্তমের সাথে। বাকীটা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস। নায়িকা থেকে মহানায়িকা হয়ে উঠলেন সুচিত্রা। ২৫ বছরের অভিনয় জীবনে ৬০টিরও বেশী ছবিতে অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন অসংখ্য সম্মান। আর প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে সুচিত্রা উত্তম যে স্থান করে নিয়েছে তা কখনো শেষ হবে না।
১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্ম। পিতা করুণাময় দাসগুপ্ত। মাতা ইন্দ্রানী দেবী। মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের লেখাপড়া পাবনা শহরে। রমাদাস গুপ্তের (সুচিত্রা সেন) এর বিয়ে হয় বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে। তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেন একজন খ্যাতিমান অভিনেত্রী। দুই নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেনও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।
মহানায়িকা জীবনে অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৫৫ সালে দেবদাস (হিন্দী) ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান। তিনি পদ্মশ্রী ও বঙ্গবিভূষণ এ অভিসিক্ত হন। এছাড়াও ফ্লিমফেয়ার সহ অনেক প্রতিষ্ঠান তাকে সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র থেকে অবসর গ্রহন করেন। এরপর তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান এবং আত্মগোপন করেন। তিনি রামকৃষ্ণ মিশনে সেবায় ব্রতী হন।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় ৮.২৫ মিনিটে ৮৩ বছর বয়সে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মহানায়িকার জীবনাবসান হয়। বাঙালির হৃদয়ের ভালোবাসার নায়িকা হারিয়ে যায়, চলে যায় না ফেরার দেশে। ১৯৭৮ সালের পর যেমন নিজেকে নিজেই নির্বাসিত করেছিলেন বালিগঞ্জের নিজ গৃহে তেমনি ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভক্তদের থেকে সত্যি সত্যিই লোক চক্ষুর আড়ালে চলে গেলেন। বাঙালির চোখ জলে ভরে গেলো। কিন্তু প্রতিটি বাঙালি এই মহানায়িকাকে প্রতি মুহূর্তে হৃদয়ে ধারণ করবে আর মনের অজান্তেই বলে উঠবে- ‘সূচিত্রা আমার নায়িকা’।
সূচি * একনজরে সুচিত্রা সেন * সুচিত্রা সেন অভিনীত ছায়াছবি * মহানায়িকার শেষ মুহূর্ত * নিজেকে জানাই - সব বসিনা পূর্ণ করতে নেই - সুচিত্রা সেন * রহস্যের নাম সুচিত্রা সেন - অনুপম হায়াৎ * রাজকুমারী ও কবিয়াল - অমিতাভ চৌধুরী * হে সুচিত্রা সেন - আসলাম সানী * প্রিয়তমা সুন্দরীতমা - আসাদ চৌধুরী * কবির নায়িকা - আসাদ মান্নান * উত্তম সুচিত্রা মিথ আলাউদ্দীন মাজিদ * মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন - আলী আফতাব * অতল জলের আহ্বান - আলী ইমাম * রোমান্সের রানি নাকি অতুলনীয় অভিনেত্রী - আসিফুর রহমান সাগর * স্মৃতিতে সুচিত্রা - আরতি মুখোপাধ্যায় * আপন গৃহে পরবাসিনী - এহসান ইসলাম * স্মৃতিবিজড়িত পাবনা - এবিএম ফজলুর রহমান * সুচিত্রা সে আজও বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি - এস কে সুর চৌধুরী * অন্তরালের নায়িকারা - এহ্সান ইসলাম * সুচিত্রার সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল - কাজী হায়াৎ * সুচিত্রা সাজ - কানিজ আলমাস খান * সুচিত্রা এক রহস্যময়ী অভিনেত্রী - কবরী * বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রার জীবনাবসান - কৃষ্ণকুমার দাস * সুচিত্রা দিদির সঙ্গে কিছুক্ষণ - কোহিনুর আক্তার সুচন্দা * ইচ্ছেটা ইচ্ছেই থেকে গেল - চাষী নজরুল ইসলাম * বাংলার চাদরে সুচিত্রা সেন - চৌধুরী নূরুল হুদা * ফ্যাশনেবল সুচিত্রা - জান্নাতুল এনা * ম্যান্ডেলা সুচিত্রা সেন দেখিয়েছেন কখন... - জগলুল আহমেদ চৌধুরী * বাঙালির রোমান্টিসিজম - জাকারিয়া সৌখিন * ভালোবাসার সুচিত্রা সেন - জাকীর হাসান * আমার গানের নিমন্ত্রণে - জোবায়দা লাবণী * চোখের ভাষার এক ঋদ্ধ অভিধান - দুখু বাঙাল * সুচিত্রা উত্তমের রহস্যগাথা : নতুন চোখে - নরসিংহ প্রসাদ শীল * চিরদিনের উত্তমÑসুচিত্রা - নাইর ইকবাল * সুচিত্রার বাড়িটি দখলমুক্ত করা উচিৎ - নাজমুস সালেহীন * সুচিত্রা : হে চিরযৌবনা, হে বঙ্গের উর্বশী - নির্মলেন্দু গুণ * সুচিত্রা সেন - পবিত্র সরকার * একটা আক্ষেপ রয়েছে মনে - প্রসেনজিৎ * রমা অথবা সুচিত্রার গল্প - মোমিন রহমান * আমি অভিনয় করিনি, অভিনয় করতে জানি না - মুম রহমান * সুচিত্রা সেন - মনজুরে মওলা * স্মৃতিতে সুচিত্রা - মাধবী মুখার্জি * শস্যদানা - মীর লিয়াকত * এখনি এসো, কাল যদি ভালো না থাকি - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় * তুমি কোন গগনের তারা - মলয়চন্দন মুখোপাধ্যায় * মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য - মঈন আবদুল্লাহ * সুচিত্রাকে নিয়ে কিছু কথা - মাহফুজুর রহমান * সুচিত্রা সেন এবং আমার প্রেম - মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন * চেনা অচেনা সুচিত্রা সেন - মুনমুন সেন * অমন হাসি আমি জীবনেও দিতে পারিনি - মাধুরী দীক্ষিত * রবিনারীর বিকল্প, কিংবা রবিনারী - মানস চৌধুরী * অপূর্বা একজন... - রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় * মহানায়িকার মহাপ্রয়াণে... - মাহবুবুল আলম * তিনি আমাদের প্রেরণা - ফরিদা আখতার (ববিতা) * তুমি আমার কে হও - ফরিদুর রেজা সাগর * স্মৃতিতে সুচিত্রা - ফারুক * আমার বাল্যবন্ধু - ফুলরানী কাঞ্জিলাল * সুচিত্রার মায়া - ফাতেমা সুলতানা শুভ্রা * আমার উপহার পেয়ে তিনি খুশি হয়েছিলেন - ফেরদৌস * মুনিয়া আমার ওকাম্পো সুচিত্রা সেন - বিদ্যুৎ কুমার দাশ * তার অভিব্যক্তি ও সংলাপ অসাধারণ - প্রদীপ কুমার দত্ত * চির অন্তরালে চিরন্তনী - রঞ্জিত মল্লিক * অপূর্বা একজন... - রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় * তিনি বেঁচে থাকবেন - রাজ্জাক * সুচিত্রা সেন শুধুই ভালোবাসা - রেজানুর রহমান * সুচিত্রা সেন : এক নস্টালজিক ফ্যাশন সেনসেশন - রেজা ফারুক * মহানায়িকার সেরা ১০ ছবি - রেজাউল করিম খোকন * স্বেচ্ছা নির্বাসনের নেপথ্যে - রক্তিম দাশ * সুচিত্রা সেন - শারমিন সুলতানা রীনা * নারীর ক্ষমতায়ন ভাষা পেয়েছিল সুচিত্রার মুখে - শোভন তরফদার * সুচিত্রাকে যেমন দেখেছি - শহীদুল হক খান * বাঙালির শেষ রোমান্টিক কিংবদন্তি - শ্রীকৃষ্ণ সেন * সুচিত্রা সেন ও তার রূপের মহিমা - সন্দ্বীপ রায় * জামদানি শাড়ি দিয়েছিলাম - সুজাতা * স্মৃতিতে সুচিত্রা - সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় * সুচিত্রা সেন বাংলার নায়িকা - সাযযাদ কাদির * সুচিত্রা সেন : প্রসঙ্গ কথা - সানাউল হক * কোনো অভিযোগ নেই - সাকিরা পারভীন * দূরের নক্ষত্র - সৈয়দ হাসমত জালাল * সেদিন দু’জনে - সন্তোষ দত্ত * সুচিতা ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের... - গুলজার * ফুলের মতো সুন্দরী - সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় * তার ব্যক্তিত্বই আমাকে আকর্ষণ করেছিল - সুপ্রিয়া দেবী * শ্যুটিংয়ে খুব মজা করতেন রমাদি - সাবিত্রী * আমার অস্তিত্বে সুচিত্রার মৃত্যু নেই - সুচন্দা * সুচিত্রা আমার নায়িকা - হামিদুল আলম সখা * নানা রূপে সুচিত্রা
হামিদুল আলম সখা জন্ম ২২ফেব্রুয়ারি ১৯৬২ সাল। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলা দাদাবাড়ি সাতপােয়া গ্রামে। পিতা মরহুম আব্দুর রশীদ, মাতা মরহুমা হাজেরা বেগম। বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকরি করার কারণে জন্মের পরই ময়মনসিংহ শহরে বসবাস। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যােগ দেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলের সভাপতি এবং ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে গুরু দায়িত্ব পালন। রাজনীতি পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে লেখকের। শুরু আনন্দ মােহন কলেজ থেকে। আমরা ক'জন, হােমাগ্নী সাংস্কৃতিক গােষ্ঠী, অম্বর সাহিত্য গােষ্ঠী, মাসিক পত্রিকা বজ্র, ঢাকায় ইউথ স্কলার কাউন্সিল, সামাজিক সংগঠন আবহমানসহ অনেক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। লেখক বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রাউফুন বসুনিয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এর সভাপতি, বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহত্তর ময়মনসিংহ কল্যাণ সমিতি | ঢাকা-এর সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহযােদ্ধা একাত্তর, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর ময়মনসিংহ লেখক সাংবাদিক ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি। তিনি লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল, ৩১৫ বি২, বাংলাদেশ এর রিজন। চেয়ারপার্সন, স্বাধীনতা ব্যংকার্স পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও সাহিত্য পত্রিকা ‘মহুয়া সম্পাদনা করে আসছেন। কথা সাহিত্যিক হামিদুল আলম সখা’র ‘মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিটেক' গল্পগ্রন্থের জন্য ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ জেলার। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কমান্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা সম্মাননা প্রদান করেন। কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি সম্মাননা পুরস্কার ২০২০ লাভ করেন। বিদেশ ভ্রমণ ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দুবাই ও ইন্দোনেশিয়া। স্ত্রী সাহিনা আক্তার রত্না, কন্যা তনিকা তাবাসসুম সূচনা ও পুত্র তানভীর ফয়সাল স্পর্শ এদের নিয়ে একান্ত জীবন।।