আনিছ আহমদ জাহাঙ্গীর পেশাগতভাবে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন আইনজীবী। আইনজীবী হলেও বুদ্ধিবৃত্তিক ইসলামী ক্রিয়াকর্মে সংশ্লিষ্ট। সদালপী, বিনয়ী, নির্মান শৈলী এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্বের অধিকারী সৃষ্টিশীল কর্মে বিশ্বাসী। জনাব আনিছ আহমদ একজন গবেষক, লেখক হিসাবে ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। ভালবাসেন পুরোনিক কাহিনী, সাহিত্য এবং ইতিহাসের অন্তরালে অস্তায়মান হীরক খন্ডকে উদ্ধার করতে। ইতঃপূর্বে নোয়াখালীর সেকাল-একাল ৪০০ বছরের নোয়াখালী শিরোনামে একুশের বইমেলায় তার ইতিহাস সমৃদ্ধ বই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এতদ্বীত তিনি “আইনবিষয়ক” বিদেশ গমনাগমন ও ইমিগ্রেশন আইন, মুসলিম পারিবারিক আইন রচনা করেছেন যাহা আইনজীবী, বিচারক, আইনের ছাত্র ও আইন বিষয়ে উৎসুক পাঠকের কাছে জনপ্রিয়তা ও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। জনাব আহমদ লেখাপড়া করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে। জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৯৭০ সালে নোয়াখালীর এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। স্থানীয় বানদত্ত হাইস্কুল থেকে ১৯৮৫ সালে এস,এসসি, ১৯৮৭ সালে নোয়াখালী সরকারী কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাশ করেন। পিতা মৌলভী তোফায়েল আহমদ একজন ধার্মিক, ইংরেজী, আরবী, ফার্সী উর্দ্দু বিষয়ে সুপন্ডিত ও সরকারী চাকুরীজীবী ছিলেন এবং মাতা মরহুমা চেমন আফরোজ, ধার্মিক, পর্দানশীল সম্ভান্ত উচ্চ বংশীয় মুসলিম পরিবারের সন্তান ছিলেন। শিশুকাল কেটেছে পাকিস্তানের লাহোর সেনানিবাস সিভিলিয়ান পিতার কর্মস্থলে। ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের স্নাতক। ১৯৯১-৯২ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পড়াশুনার জন্য চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে এম,এ (বাংলা) ক্লাশ ভর্তি হন এবং দু’বছর ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়নের পাশাপাশি ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর উপর গবেষনা লদ্ধ জ্ঞান আহরন এবং ১৯৯৪ সালে রাজনীতি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন। ১৯৯৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে আইনে এল.এলবি ডিগ্রী অর্জন করে বর্তমানে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। লেখক ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত- এক পুত্র, এক কন্যা সন্তানের জনক। “বাংলাদেশে মুসলমানদের ইতিহাস (৬৫০-২০২১ খ্রি.)” লেখকের দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টার ক্ষুদ্র ফসল।