"ক্রেপাসকুলার" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া বাংলাদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানী নেমে পড়েছেন মহাশূন্য পাড়ি দিতে। তাদের উদ্দেশ্য পৃথিবীর বাইরে উন্নত বুদ্ধিমান কোন প্রাণির অনুসন্ধান করা। মিশনের নাম ‘মিশন হাইপার ডাইভ অ্যান্ড মিসেলেনিয়াস'। এই মিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মাত্রার হাইপার ডাইভ দিয়ে ক্ষুদ্রতম সময়ের মধ্যে তারা মিলিয়ন আলােকবর্ষের দূরত্ব অতিক্রম করার চেষ্টা চালাবেন। আর এই কাজের জন্য আদর্শ স্থান হলাে গ্যাস জায়ান্ট জুপিটারের কক্ষপথ। সেদিকেই ছুটে চলেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। তাদেরকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে বিডি-০০৮ স্পেসক্রাফট। যার গতি আলাের গতির চেয়েও বেশি। এর আগে ইউএস ও রাশানরা আলােকগতির যান পাঠানাের পর ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা মনে করেন, তারা এ কাজের সফলকাম হতে পারবেন। কিন্তু হঠাৎ মনিটরে ভেসে উঠল একটি সিগন্যাল-‘STOP within 30 Seconds!’ দুর্ভাগ্য বিজ্ঞানীদের, তারা বন্দী হলেন পৃথিবীর বাইরে উন্নত একটি বুদ্ধিমান প্রাণীদের হাতে! এইসব বুদ্ধিমান প্রাণীরা ক্ৰেপাসকুলার নামে পরিচিত। প্রাণীদের গ্রহের নাম ‘বানসুটি। এদিকে স্পেসক্রাফটের সাথে পৃথিবীর যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আর বােধ হয় কোনদিনই তারা পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারবেন না। কারণ তারা ইতিমধ্যেই তাদের স্পেসক্রাফটি হারিয়ে ফেলেছেন। ভাগ্যে কী বরণ করতে হয়েছিল বাংলাদেশের চারজন বিজ্ঞানীর, সেসব বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে চমৎকারভাবে বর্ণনা করেছেন লেখক নীলকণ্ঠ জয়। বইটি পাঠকপ্রিয় হবে বলে বিশ্বাস করি। প্রকাশক