কেন এই বই অনেকেরই পত্রিকায় পিআর লিখে পাঠাতে হয়। কিন্তু পিআর লেখার নিয়ম না জানার কারণে অনেকের পিআর ছাপা হয়না আর হলেও পাঠক পড়ে না বা ভিউ হয়না। তাই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি লেখা ও প্রচার প্রসারের কৌশল জানাতে এই বই।
কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান বইটি কিনে অফিসে রাখলে তাদের কাজে লাগবে? ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট হাউজ, এসএমই, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও, ব্যাংক-বীমা, সরকারী মন্ত্রণালয় ও দপ্তর, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের পিআর লেখা, বিতরণ ও প্রচারণার জন্য বইটি দরকার হবে।
কি আছে বইটিতে? বইটিতে রয়েছে ১৮টি অধ্যায়। যেমন প্রেস রিলিজের প্রয়োজনীয়তা, প্রেস রিলিজের বৈশিষ্ঠ্য ও আকৃতি প্রকৃতি, প্রেস রিলিজের কাঠামো, প্রেস রিলিজ লিখন পদ্ধতি, প্রেস রিলিজ বিতরণ মডেল, প্রেস রিলিজে এসইও এর গুরুত্ব, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি লেখার নিয়ম, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি লেখার বিভিন্ন কাঠামো, সংবাদ বনাম প্রেস রিলিজ, সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সূচনা কৌশল, প্রেস রিলিজ কার্যকর করার কৌশল, প্রেস রিলিজ এর ছবি তোলার নীতি, ভিডিও পিআর, নমূনা পিআর, মানহানি মামলা ও কতিপয় পরিভাষা।
অস্টম শ্রেণী ছাত্র থাকা অবস্থায় তার লেখা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছাত্রজীবন থেকে তিনি লেখালেখি, বিতর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু পুরষ্কার পেয়ে আসছেন। দেশের প্রায় সব পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমে রম্য লিখলেও পরে তিনি জীবনমুখী লেখনীতে মনোনিবেশ করেন। এযাবত বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে তার হাজারের বেশী লেখা রয়েছে। এগুলো আত্মগঠন, ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটন ও লোকসাহিত্য নিয়ে। বিষয় বস্তুর নির্বাচন ও নিজস্ব বর্ণনাভঙ্গি তাকে ‘‘জীবনমুখী লেখক’’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। মজা করে লিখতে পারেন বলে তার লেখা পাঠক শুরু থেকে শেষ অবধি পাঠ করেন। তার লেখায় থাকে গল্পময়তার ছাপ। বাংলাভাষায় কর্মাশিয়াল কনটেন্ট লেখনিতে তিনি একজন পথিকৃত। অনলাইনে তার ই-কমার্স ও আত্ম উন্নয়নমুলক লেখাসমূহ পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। ২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করেন। ৪৬ দিনে ১১৭৬ কিলোমিটারের এই পদযাত্রা নিয়ে রচনা করেন অন্যরকম ভ্রমণকাহিনী ‘‘দেখব বাংলাদেশ গড় বাংলাদেশ’’। ২০১৭ সালে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর বিবেচনায় দেশের ৪০ জন প্রশংসিত ব্যক্তির একজন নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে দেশের প্রথম ই-কমার্স সামিটে তিনি দেশ সেরা ই-কমার্স কনটেন্ট রাইটার পুরষ্কার জিতেন।
বাংলাদেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটে লেখা তার আত্ম -উন্নয়নমূলক লেখনী তরুনদের উপলব্দির জায়গায় স্পর্শ করে। তার বিভিন্ন লেখায় অনলাইনে পাঠকের উচ্চসিত মতামত সেকথাই বলে।
একসময় রাখালী নামে একটি লোকসাহিত্যের ছোট কাগজ সম্পাদনা করতেন। লেখাপড়া করেছেন ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের জন্ম ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলায় মামাবাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। এখানেই কাটান শৈশব কৈশর। বর্তমান স্থায়ী নিবার ফেনী জেলায় হলেও কিন্তু কর্মসূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের বাবা একজন অসবরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরে আর মা গৃহিনী।